সাআদ তাশফিন। ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
সমাজ ধ্বংসের অন্যতম হাতিয়ার মদ। পবিত্র কোরআনে একে শয়তানের অপবিত্র কাজ আখ্যা দেয়া হয়েছে। ‘হে মুমিনরা, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদি ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো অপবিত্র—শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
শয়তান শুধু মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে। অতএব, তোমরা কি বিরত হবে না ? ’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৯০-৯১)
হাদিস শরিফে বলা হয়েছে এটি সব অশ্লীলতার মূল।
————————————————————————————————–
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ তোমরা মদ থেকে বেঁচে থাকো। কেননা তা অশ্লীল কাজের মূল।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৫৬৬৭)।
————————————————————————————————-
তাই বলা যায়, যারা সমাজে এই মাদকের প্রসার ঘটায় তারা সমাজের শত্রু, গোটা উম্মাহর শত্রু। অভিশপ্ত ইবলিস শয়তানের দোসর। কেননা ওপরে উল্লিখিত আয়াতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ‘শয়তান শুধু মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়।
মাদক, জুয়া ইত্যাদির প্রসার সমাজে পাপ, শত্রুতা ও বিদ্বেষ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। যারা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত, তারা মূলত শয়তানের এই মিশন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। মানবতাকে ধ্বংস করছে। সামাজিক কাঠামো ভেঙে দিচ্ছে।
মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করছে। হাদিস শরিফে আছে, কোনো ব্যক্তি যখন মাদক সেবন করে, ৪০ দিন পর্যন্ত তার ইবাদত কবুল হয় না।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ যে ব্যক্তি এক ঢোক মদ পান করবে, আল্লাহ পাক ৪০ দিনের মধ্যে তার তাওবা কবুল করবেন না। অতঃপর যদি সে তাওবা করে, তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। যদি সে আবার পান করে, তবে তার তাওবা ৪০ দিন পর্যন্ত কবুল করবেন না ; পুনরায় তাওবা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। এর পরও যদি সে শরাব পান করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা নিশ্চিতরূপে তাকে কিয়ামতের দিন দোজখিদের পুঁজ পান করাবেন।’ (নাসায়ি, হাদিস : ৫৬৭০)
তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত মাদক থেকে দূরে থাকা। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সচেষ্ট হওয়া।