বড্ড সামাজিক পাখি, মায়াবী পাখি। খাড়া মাটির দেয়ালে গর্ত খুঁড়ে বাসা করে এরা। কলোনি বাসা। আর এদের ঝাঁকে ছাড়া দেখাই যায় না বলা যায়। বাসা বানানোর ক্ষেত্রে এরা খুবই হুঁশিয়ার। বিশেষ করে নদীর খাড়া পাড়ের ক্ষেত্রে। খুব হিসাব কষে এরা বাসা বানানোর পয়েন্টটা নির্বাচন করে।
মাটি খুঁড়ে ভেতরের দিকে ঢোকে, পা ও বুক দিয়ে সেই ঝুরঝুরে মাটি গর্তের বাইরে এনে ফেলে। ৩ থেকে ৫ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এরা একটু ডানে-বাঁয়ে বা ওপরের দিকে এগিয়ে বড়সড় ডিমের চেম্বার বানায়। গর্তের প্রবেশমুখটা এমন মাপের যে সহজে যাতে সাপেরা গর্তে ঢুকে ডিম-ছানা গিলতে না পারে।
সহজে যাতে খাড়া দেয়াল বেয়ে দাঁড়াশ সাপ বা অন্য সাপেরা গর্তমুখের নাগাল না পায়। নাগাল না পায় খ্যাঁকশিয়াল-ছোট বেজি-বড় বেজি-শিয়াল-খাটাশ ও বনবিড়ালেরা। শুধু ডিম ও পিচ্চি ছানা ছাড়া সাপের কবলে পড়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই। তবে উড়ু উড়ু ছানারা যখন গর্তমুখে বসে খিদে ও বায়নার কান্না ছড়ায়, তখনই সাপ বাদে অন্যরা এসে ছানা নিতে পারে। দুর্দান্ত দর্শনীয় ডাইভ মেরে নেমে আসতে পারে তুখোড় শিকারি পাখি বাজ তুরমতী।
Leave a Reply