০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫

পুলিশের একজন জিয়ার বদলি, নোয়াখালীবাসীর প্রত্যাশা

  • Akash Md. Jasim Editor
  • আপডেট: ০৬:১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২০৪

দিশারী ডেস্ক। ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪।

পুুলিশ বিভাগের সুনাম, সুখ্যাতি, সভ্যতা, মর্যাদা রক্ষায় অনন্য নজির সৃষ্টি করেছিলেন নোয়াখালীর পুলিশের বিশেষ শাখার দায়িত্বশীল কর্মকতা (ডিআই-১) জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া।

তাঁর ব্যক্তিগত সদাচরণ, সদ্ভাব, সদালাপ, আন্তরিকতা ও সর্বোময়ী কর্মগুণে পুলিশের সুনাম ও সুখ্যাতি যোগ হয়েছিল নোয়াখালীর পুলিশ বিভাগের খাতায়। একইসঙ্গে, তিনিও অর্জন করেছেন নোয়াখালীর গণমানুষের আস্থা, সম্মান ও ভালবাসা।

জেলার সর্বস্তরে প্রচারিত খবর রয়েছে যে, নোয়াখালীর বিশেষ শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা (ডিআই-১) জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া’র ২ বছর ৪ মাসের কর্মময় সময়ে জেলাবাসীকে এ শাখায় জরুরী ও প্রয়োজনীয় এবং অনিবার্য কোন ধরনের পাসপোর্ট কিংবা চাকরিজনিত রিপোর্ট গ্রহণে কোন ধরনের বিপত্তি পোহাতে হয়নি।

তাঁর সময়ে এ দপ্তরে ছিলনা কোন ধরনের অবৈধ সুবিধা গ্রহণেরও প্রবণতা। ছিলনা কোন ধরনের দালালের দৌরাত্ম্যও।

এমন প্রসঙ্গে সেবাগ্রহিতা সদর উপজেলার ধর্মপুরের নিজাম উদ্দিন জানান, তার পাসপোর্ট আবেদনের রিপোর্টটি এখানে জমা হওয়ার পর কোন ধরনের ধ্যান-দরবার কিংবা তদবির-তালাসী ছাড়াই সেটি সোজা পাসপোর্ট কার্যালয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, তার পাসপোর্টটি সহজে হাতে পেতে কোন ধরনের বেগ পোহাতে হয়নি তাকে।

একইভাবে, ওই এলাকার সেলিম মিয়ার ছোটপুত্র হাছান আরেফিন মান্নার সরকারী চাকুরিজনিত রিপোর্টটি নিয়েও কোন ধরনের দুর্ভোগ বা ভোগান্তির পোহাতে হয়নি বলে জানান মান্নার এক বড়ভাই।

কোম্পানীগঞ্জের রফিউল ইসলাম জানান, তাঁর সৌদী আরবে চাকুরির ক্ষেত্রে নিজস্ব থানা পুলিশের একটি তদন্ত রিপোর্ট দরকার হয়েছিল। যেটি পুলিশের শাখার কর্মকর্তা জিয়া সাহেবের সহায়তায় সহজে পেয়েছেন তিনি।

হাতিয়ার অলি উদ্দিন বলেন, আমি ডিএসবির প্রধান কর্মকর্তাকে চিনি। তিনি একজন ভাল মানুষ। আমার পাসপোর্ট করতে কোনো অতিরিক্ত ফী বা দালালের প্রয়োজন হয়নি। পুলিশি ভেরিফিকেশনের জন্যও কোনো ভোগান্তি ছিলনা। তাঁর সহযোগিতায় পুলিশ সেবা দিচ্ছে আগ্রহী হয়ে।

সেবা গ্রহিতারা জানান, জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া’র কর্মময় সময়ে তার কার্যালয়ের দরজাটি শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষায় সর্বদাই খোলা ছিল বলা যায়। তারা বলেন, বলা চলে সকাল থেকে রাত ১০ পর্যন্তই এ কার্যালয়ে গণমানুষের সেবায় নিজেকে সদা জাগ্রত রাখতেন তিনি। জনমানুষের সেবায় নিজেকে প্রণোদিত রাখতে কোন ধরনের বিরক্তিবোধ ছিলনা তাঁর।

নোয়াখালী পুলিশের বিশেষ শাখার সেবা প্রত্যাশি মানুষ আশা প্রকাশ করেন, জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়ার বদলিজনিত স্থলে যে বা যারাই দায়িত্ব পালন করবেন, তিনিও নোয়াখালীর গণমানুষের সেবায় নিজেকে উদার ও প্রাণবন্ত রাখবেন নিশ্চয়, সর্বদাই ও সাধুতায়।

একইসঙ্গে, জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া’র ব্যক্তিগত ও কর্মময় জীবনের সমৃদ্ধি কামনা করেন তারা। তারা মনে করেন, জিয়া বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের যেখানেই পদাসীন হবেন সেখানেই নিজগুণে, নিজেকে গণমানুষের আস্থায় সম্প্রসারিত রাখবেনও অবশ্যই।

———————————————————————————————

এদিকে, বদলিকে স্বাগত জানিয়ে জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, এটাই সরকারী চাকুরির বিধান। তিনি বলেন, তাঁর কর্মময় সময়ে কর্মব্যস্ততার কারণে মনের একান্ত অজান্তে জেলাবাসীর কারো, কোন ধরনের প্রত্যাশা পূরণে কষ্ট দিয়ে থাকলে তিনি মুঠোফোনে দৈনিক দিশারী’র মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেন।

একইসঙ্গে, কর্মময় জীবনে জেলাবাসীর সেবায় নিজের হৃদয়ের সদর দরজা যেমন খোলা রেখেছেন, জেলাবাসীও তাঁকে সহায়তা করেছেন বলে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতাও রাখেন তিনি।

——————————————————————————————–

 

 

পুলিশের একজন জিয়ার বদলি, নোয়াখালীবাসীর প্রত্যাশা

আপডেট: ০৬:১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

দিশারী ডেস্ক। ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪।

পুুলিশ বিভাগের সুনাম, সুখ্যাতি, সভ্যতা, মর্যাদা রক্ষায় অনন্য নজির সৃষ্টি করেছিলেন নোয়াখালীর পুলিশের বিশেষ শাখার দায়িত্বশীল কর্মকতা (ডিআই-১) জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া।

তাঁর ব্যক্তিগত সদাচরণ, সদ্ভাব, সদালাপ, আন্তরিকতা ও সর্বোময়ী কর্মগুণে পুলিশের সুনাম ও সুখ্যাতি যোগ হয়েছিল নোয়াখালীর পুলিশ বিভাগের খাতায়। একইসঙ্গে, তিনিও অর্জন করেছেন নোয়াখালীর গণমানুষের আস্থা, সম্মান ও ভালবাসা।

জেলার সর্বস্তরে প্রচারিত খবর রয়েছে যে, নোয়াখালীর বিশেষ শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা (ডিআই-১) জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া’র ২ বছর ৪ মাসের কর্মময় সময়ে জেলাবাসীকে এ শাখায় জরুরী ও প্রয়োজনীয় এবং অনিবার্য কোন ধরনের পাসপোর্ট কিংবা চাকরিজনিত রিপোর্ট গ্রহণে কোন ধরনের বিপত্তি পোহাতে হয়নি।

তাঁর সময়ে এ দপ্তরে ছিলনা কোন ধরনের অবৈধ সুবিধা গ্রহণেরও প্রবণতা। ছিলনা কোন ধরনের দালালের দৌরাত্ম্যও।

এমন প্রসঙ্গে সেবাগ্রহিতা সদর উপজেলার ধর্মপুরের নিজাম উদ্দিন জানান, তার পাসপোর্ট আবেদনের রিপোর্টটি এখানে জমা হওয়ার পর কোন ধরনের ধ্যান-দরবার কিংবা তদবির-তালাসী ছাড়াই সেটি সোজা পাসপোর্ট কার্যালয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, তার পাসপোর্টটি সহজে হাতে পেতে কোন ধরনের বেগ পোহাতে হয়নি তাকে।

একইভাবে, ওই এলাকার সেলিম মিয়ার ছোটপুত্র হাছান আরেফিন মান্নার সরকারী চাকুরিজনিত রিপোর্টটি নিয়েও কোন ধরনের দুর্ভোগ বা ভোগান্তির পোহাতে হয়নি বলে জানান মান্নার এক বড়ভাই।

কোম্পানীগঞ্জের রফিউল ইসলাম জানান, তাঁর সৌদী আরবে চাকুরির ক্ষেত্রে নিজস্ব থানা পুলিশের একটি তদন্ত রিপোর্ট দরকার হয়েছিল। যেটি পুলিশের শাখার কর্মকর্তা জিয়া সাহেবের সহায়তায় সহজে পেয়েছেন তিনি।

হাতিয়ার অলি উদ্দিন বলেন, আমি ডিএসবির প্রধান কর্মকর্তাকে চিনি। তিনি একজন ভাল মানুষ। আমার পাসপোর্ট করতে কোনো অতিরিক্ত ফী বা দালালের প্রয়োজন হয়নি। পুলিশি ভেরিফিকেশনের জন্যও কোনো ভোগান্তি ছিলনা। তাঁর সহযোগিতায় পুলিশ সেবা দিচ্ছে আগ্রহী হয়ে।

সেবা গ্রহিতারা জানান, জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া’র কর্মময় সময়ে তার কার্যালয়ের দরজাটি শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষায় সর্বদাই খোলা ছিল বলা যায়। তারা বলেন, বলা চলে সকাল থেকে রাত ১০ পর্যন্তই এ কার্যালয়ে গণমানুষের সেবায় নিজেকে সদা জাগ্রত রাখতেন তিনি। জনমানুষের সেবায় নিজেকে প্রণোদিত রাখতে কোন ধরনের বিরক্তিবোধ ছিলনা তাঁর।

নোয়াখালী পুলিশের বিশেষ শাখার সেবা প্রত্যাশি মানুষ আশা প্রকাশ করেন, জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়ার বদলিজনিত স্থলে যে বা যারাই দায়িত্ব পালন করবেন, তিনিও নোয়াখালীর গণমানুষের সেবায় নিজেকে উদার ও প্রাণবন্ত রাখবেন নিশ্চয়, সর্বদাই ও সাধুতায়।

একইসঙ্গে, জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া’র ব্যক্তিগত ও কর্মময় জীবনের সমৃদ্ধি কামনা করেন তারা। তারা মনে করেন, জিয়া বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের যেখানেই পদাসীন হবেন সেখানেই নিজগুণে, নিজেকে গণমানুষের আস্থায় সম্প্রসারিত রাখবেনও অবশ্যই।

———————————————————————————————

এদিকে, বদলিকে স্বাগত জানিয়ে জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, এটাই সরকারী চাকুরির বিধান। তিনি বলেন, তাঁর কর্মময় সময়ে কর্মব্যস্ততার কারণে মনের একান্ত অজান্তে জেলাবাসীর কারো, কোন ধরনের প্রত্যাশা পূরণে কষ্ট দিয়ে থাকলে তিনি মুঠোফোনে দৈনিক দিশারী’র মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেন।

একইসঙ্গে, কর্মময় জীবনে জেলাবাসীর সেবায় নিজের হৃদয়ের সদর দরজা যেমন খোলা রেখেছেন, জেলাবাসীও তাঁকে সহায়তা করেছেন বলে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতাও রাখেন তিনি।

——————————————————————————————–