দিশারী ডেস্ক। ১৯ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।
‘ গাজায় ইসরাইলের নারকীয় হামলা, চার শতাধিক নিহত ’-এটি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় নারকীয় হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। সোমবার রাত থেকে চালানো হামলায় নিহতের সংখ্যা চার শতাধিক ছাড়িয়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইসরাইলের এই হামলায় বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা হামাস নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে।
সেহরির সময় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ
গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ একটি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় অনেক লোক সেহরি খাচ্ছিলেন, তথনই গাজায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ২০টিরও বেশি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান গাজা সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে শুরু করে বলে তারা জানিয়েছেন।
————————————————
খবর পর্যালোচনা
———————————————–
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে নিহতদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং ২৮ জন নারী রয়েছে বলে জানা গেছে। কর্মকর্তারা সব হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক লাশ বের হয়ে আসছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ মঙ্গলবার সকালে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের বারবার অস্বীকৃতি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে আসা সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জবাবে এই হামলা। ইসরাইল এখন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করবে।’