উম্মে আহমাদ ফারজানা
——————–
আতর ও সুগন্ধি ইসলামের পছন্দ। এর সূত্র ধরে গোটা পরিবেশ সুগন্ধিময় করতে পাক-ভারত উপমহাদেশে মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সবার মধ্যে আগরবাতির প্রচলন ঘটে।
আগরবাতি হলো কাঠিতে মসলামাখা সুগন্ধিযুক্ত এক ধরনের বাতি। আগরবাতিতে আগুন জ্বালালে তা ধীরে ধীরে পুড়ে চারপাশে সুগন্ধি ছড়ায়।
আগরবাতি উৎপাদন কুটির শিল্পের অন্তর্গত। সাধারণত বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানে আগরবাতি জ্বালানো হয়। আগরবাতি জ্বালালে ঘরের পরিবেশ ও চারপাশ সুগন্ধে ভরে যায়।
মন্দির, মসজিদ, গির্জা প্রভৃতি উপাসনালয়ে এবং বাড়িতে পূজা বা মিলাদে আগরবাতি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া সুগন্ধি হিসেবে অনেকে প্রতিদিন ঘরে বা দোকানেও আগরবাতি ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাজার, থানা শহর অথবা উপজেলা শহরে আগরবাতি বিক্রি করা যায়। কিন্তু আবহমান এই রীতিতে চ্যালেঞ্জ করছে আধুনিক গবেষণা। ২০১৫ সালে সাউথ চায়না ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা করেন। তারা ধূপকাঠির সাধারণ উপাদান আগর কাঠ ও চন্দনকাঠের ওপর গবেষণা করে বলেন, আগরবাতির ধোঁয়া শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর।
বিজ্ঞানীরা বলেন, আগরবাতি জ্বালিয়ে এর ধোঁয়া গ্রহণ করা আর ক্যান্সারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলা একই ব্যাপার। সিগারেটের ধোঁয়া যেমন ক্ষতি করে, একই ক্ষতি করে আগরবাতির ধোঁয়া। বিজ্ঞানীরা বলেন, ধূপকাঠির ধোঁয়ায় তিন ধরনের টক্সিন আছে, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। ওই তিন টক্সিন হলো—মিউটাজেনিক, জেনোটক্সিক ও সাইটোটক্সিক। তাই আগরবাতি ব্যবহারে সতর্কতা কাম্য।
Leave a Reply