মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
—————-
নামাজ আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। আল্লাহর উপাসনার সর্বোত্কৃষ্ট পদ্ধতি হলো নামাজ। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের উচিত যেকোনো পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় বেশি বেশি নামাজ পড়ার চেষ্টা করা।
গুরুত্বসহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজে মনোযোগ দেওয়া।
মহানবী (সা.) দীর্ঘ (নফল) নামাজকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে হুবশি আল-খাসআমি (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.)-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো কোন সদকা উত্তম? তিনি বলেন, নিজ শ্রমে উপার্জিত সামান্য সম্পদ থেকে যে দান করা হয় সেটাই উত্তম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন হিজরত উত্তম? তিনি বলেন, আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু থেকে দূরে থাকা। জিজ্ঞাসা করা হলো কোন জিহাদ উত্তম? তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নিজের জীবন ও সম্পদ দ্বারা মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন ধরনের মৃত্যু মর্যাদাকর? তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (যুদ্ধের ময়দানে) নিজের ঘোড়াসহ নিহত হয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে নামাজে দীর্ঘ কুনুত পড়া হয়। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৫৩)
ইমাম নববি (রহ.) বলেন, এখানে লম্বা দীর্ঘ কুনুত বলতে দীর্ঘ কিরাত বোঝানো হয়েছে। তাঁর এই মতের সঙ্গে ওলামায়ে কিরাম একমত।
মহান আল্লাহ আমাদের দীর্ঘ নামাজের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Leave a Reply