দিশারী ডেস্ক । ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
নোয়াখালীতে স্মরণকালের বন্যায় ৮টি উপজেলায় ২২ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বর্তমানে ধীরে-ধীরে পানি নেমে আসায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট ধ্বংসের ভয়াবহ দৃশ্য দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় মানুষেরা দাবি করছেন, বন্যার এরূপ ক্ষয়-ক্ষতির দৃশ্য এর আগে তারা কখনো দেখেনি।সবচেয়ে আশঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বন্যা পরবর্তী রাস্তার এমন বেহালদশা থাকলে বাইর থেকে কোনো মানুষ ব্যবসা-বানিজ্য করতে আসতে চাইবে না। আর তারা না আসলে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেননা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর আহমেদ জানান, উপজেলার ২১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও ৩০০ মিটার কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।যার আনুমানিক আর্থিক মূল্য ১৫০ কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৮টি উপজেলায় ১৫০০ কিলোমিটার গ্রামীন পাকা সড়ক ও ১১৮টি ব্রীজ কালভার্ট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।সবমিলিয়ে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান ৯০০ কোটি টাকা।
বন্যায় গ্রামীণ অবকাঠামোর ক্ষয়-ক্ষতিতে মানুষের বিড়ম্বনার বিষয়ে জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, এখনো বেশকিছু এলাকায় পানি না নামায় ক্ষয়ক্ষতির চুড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়নি। তবে আমরা জরুরিভাবে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য উল্লেখ করে সরকারের উঁচু পর্যায়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করি সহসায় এর একটা সমাধান আসবে। তিনি বলেন, মানুষের বিড়ম্বনা ও কৃষকের পণ্য পরিবহনের জন্য জরুরি মেরামতের বিষয়টি আমাদের ভাবনায় রয়েছে।
Leave a Reply