দিশারী ডেস্ক। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালী জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। জানা যায়, এবারের বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার ১২৫৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৫৪টি বিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বাকি ৪৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালুই করা যায়নি।
জানা যায়, সদর, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল এই চার উপজেলায় বন্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ভয়াবহ ক্ষতির শিকার হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আজ ১১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত বেগমগঞ্জ উপজেলার একটিও বিদ্যালয় খুলে দেয়া যায়নি। কারণ হিসেবে জানা যায়, বিদ্যালয়গুলোর আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষজন এখনো অবস্হান করছেন কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতার কারণে। আবার কয়েক জায়গায় পানি কমে যাওয়ায় কিছু কিছু বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ চলছে। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরী জানান, বন্যায় দীর্ঘদিন পানি থাকায় আমাদের বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও স্যানেটারি ব্যবস্হা, সূপেয় পানির মোটর ও বেঞ্চ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ উল্লেখ করে আমরা মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫ কেটি ৭০ লাখ টাকা উল্লেখ করে আমরা এর দ্রুত বরাদ্দ চেয়েছি।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, আশাকরি আমাদের রিপোর্টের আলোকে সরকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুতই ব্যবস্হা নেবে। এদিকে বিভিন্ন এনজিও সংস্হা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কাজ শুরু করলেও সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানান মনছুর আলী চৌধুরী।
Leave a Reply