কারাগার থেকেই হাসিনার কাছে সালমানের ফোন ?

  • আপডেট সময় বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০২৪
  • 39 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ২০ নভেম্বর, ২০২৪

আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে আস্থাভাজন কয়েকজনের মধ্যে নাম ছিল সালমান এফ রহমানের। শেখ হাসিনা স্বৈরাশাসক হয়ে ওঠার পেছনে অবদানও আছে তার।

এদের মধ্যে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে গেছেন। অন্যদিকে সালমান এফ রহমান আছেন কারাগারে।তবে কারাগারে বসেই নাকি হাসিনার সঙ্গে কথা হয় সালমান এফ রহমানের।

কারাগার সূত্রের দাবি, তার মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় বিদেশে কথা বলতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারের ভেতর থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তাকে যেখানে বন্দি রাখা হয়েছে, সেখানে জ্যামার বসানো আছে।

———————————————————————–

সূত্র : একটি জাতীয় দৈনিক

———————————————————————

গত ১৩ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় সালমান এফ রহমানকে। পরে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় করা একটি হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ওই মামলায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে যাওয়ার পর তিনি ডিভিশন পান। ডিভিশন পাওয়ায় কারাবিধি অনুযায়ী, সাধারণ বন্দিদের চেয়ে কিছু বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে কারাগারে পেয়েছেন চেয়ার, টেবিল ও খাট, যেগুলো ডিভিশনহীন বন্দিরা পান না।

কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, কারাগারে বসে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের সুযোগ পাচ্ছেন সালমান এফ রহমান।

অসাধু কারারক্ষীদের ম্যানেজ করে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি, যাতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের সুযোগ মিলছে তার। আর এই যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।

তবে কারাগারে বসে ফোনে কথা বলার সুযোগ পাওয়ার কথা নয় বলে কালের কণ্ঠর কাছে দাবি করেছেন আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন।

তিনি বলেন, যেহেতু তথ্যটি আপনারা দিয়েছেন সেটি চেক করে দেখব। উনাকে (সালমান এফ রহমান) যে জোনে রাখা হয়েছে, সেখানে মোবাইল ফোন যাওয়ার সুযোগ নেই। সেখানে জ্যামার বসানো আছে।

সাবেক ডিআইজি প্রিজনস ও কারা বিশ্লেষক মেজর (অব.) সামছুল হায়দার ছিদ্দিকী  বলেন, কারাগারে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পান বন্দিরা।

একজন কারারক্ষী যদি কিছুক্ষণ কথা বলার জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পান, সেটি তার কাছে অনেক টাকা। প্রভাবশালী বন্দিদের কাছে এ টাকা কিছু না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে অনেক কারারক্ষী এসব অপরাধে জড়ান।’

তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের উচিত হবে নজরদারি বাড়ানো। এ ছাড়া প্রভাবশালী বন্দিদের কিছুদিন পর পর রুম বদলানো দরকার। তাহলে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটতে পারে। কেউ ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!