আল্লাহভীতির নিদর্শন কি কি?

  • আপডেট সময় রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
  • 59 পাঠক

মুফতি হুমায়ুন কবির মুহিউদ্দিন ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।

মহান আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকাই আল্লাহভীতি। এটিই হচ্ছে সমস্ত নেক কাজের মূল উৎস। যার ভেতর আল্লাহভীতি আছে সে সব ধরনের পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকে এবং ইসলামের বিধানাবলি পালনে যত্নশীল হয়। আর যার ভেতর আল্লাহভীতি নেই সে খুব সহজেই পাপ কাজে জড়িয়ে যায়। তাই আমাদের জন্য আল্লাহভীতি অর্জন এবং সেটার নিদর্শনগুলো জেনে রাখা উচিত।

বিখ্যাত ফকিহ আবুল লাইস সামারকান্দি (রহ.) আল্লাহভীতির ১০টি নিদর্শন বর্ণনা করেছেন। সেগুলো উল্লেখ করা হলো।

গিবত না করা : আল্লাহতায়ালা বলেছেন, তোমরা একে অপরের গিবত কোরো না। (সুরা হুজুরাত ১২)

খারাপ ধারণা না করা : আল্লাহতায়ালা বলেছেন, তোমরা অধিক ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। নিশ্চয়ই কতক ধারণা পাপ। (সুরা হুজুরাত ১২)

তিরস্কার না করা : আল্লাহতায়ালা বলেছেন, হে ইমানদাররা ! কোনো সম্প্রদায় যেন অপর কোনো সম্প্রদায়ের তিরস্কার না করে, হতে পারে তারা তিরস্কারকারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আর কোনো নারীও যেন অন্য নারীকে তিরস্কার না করে, হতে পারে তারা তিরস্কারকারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা কোরো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ উপনামে ডেকো না। ইমানের পর মন্দ নাম কতই-না নিকৃষ্ট ! আর যারা তওবা করে না, তারাই তো জালেম। (সুরা হুজুরাত ১১)

দৃষ্টি সংযত রাখা : কোরআনে নারী-পুরুষ উভয়কে দৃষ্টি সংযত রাখতে বলা হয়েছে। আর এটাকে বলা হয়েছে তাদের জন্য অধিক পবিত্র। (সুরা নুর ৩০-৩১)

সত্য ও ন্যায়সংগত কথা বলা : আল্লাহতায়ালা বলেছেন, যখন তোমরা কিছু বলবে, তখন বাস্তব ও ন্যায়সংগত কথা বলবে। (সুরা আনআম ১৫২)

নেয়ামতের কথা অধিক স্মরণ করা : জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতের ওপর ভাসছি। তার এসব নেয়ামতের কথা বেশি বেশি স্মরণ করা এবং এর শুকরিয়া আদায় করা।

মধ্যপন্থা অবলম্বন করা : আল্লাহতায়ালা বলেছেন, আর তারা যখন ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না। বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে। (সুরা ফুরকান ৬৭)

অহংকার না করা : আল্লাহতায়ালা বলেছেন, এই হচ্ছে আখেরাতের নিবাস, যা আমি তাদের জন্য নির্ধারিত করি, যারা জমিনে দাম্ভিকতা দেখাতে চায় না এবং ফ্যাসাদও চায় না। আর শুভ পরিণাম মুত্তাকিদের জন্য। (সুরা কাসাস ৮৩)

নামাজ আদায় করা : জামাতের সঙ্গে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, তোমরা সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও। বিশেষভাবে মধ্যবর্তী (আসরের) নামাজের ব্যাপারে। আর তোমরা আল্লাহর সামনে নম্রভাবে দাঁড়াও। (সুরা বাকারা ২৩৮)

সরল-সঠিক পথের অনুসরণ : আল্লাহতায়ালা বলেছেন, এটি তো আমার সরল-সঠিক পথ। সুতরাং তোমরা এর অনুসরণ করো এবং অন্য পথ অনুসরণ কোরো না, তাহলে তা তোমাদের তার পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। তিনি তোমাদের এর উপদেশ দিচ্ছেন, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। (সুরা আনআম ১৫৩)

বর্তমানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীরাই এই সরল-সঠিক পথের ওপর আছে। আল্লাহতায়ালা সবাইকে এগুলো অর্জনের তওফিক দান করুন। আমিন।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!