নির্বাচন কমিশন ও শিক্ষাবোর্ডের অদক্ষদের ভুলের দায়ভার কার !

  • আপডেট সময় শনিবার, আগস্ট ৭, ২০২১
  • 700 পাঠক

নিজস্ব প্রতিনিধি

————————-

সরকারের শিক্ষা বোর্ডসমূহ ও নির্বাচন কমিশনে অদক্ষ, অযোগ্য ও খামখেয়ালিয়ানাদের কারণে সাধারণ মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, এসব দপ্তরে কম্পিউটারের চাকুরিজীবিদের মধ্যে অনেকেরই লেখাপড়ার যথেষ্ঠ দক্ষতার অভাবে সাধারণ মানুষ অনেক সময় দিকবিদিকও হারাচ্ছেন।

এসব চাকুরিজীবিদের কারণে অনেক শিক্ষার্থী নিজের শিক্ষাগত জীবনের অর্জিত সনদ নিয়েও এক সময় জটিল ও কঠিন বিপত্তির শিকার হওয়ার ঘটনাও অহরহ।

পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনেও ভোটার তালিকাভুক্তিকরণে দক্ষ, যোগ্য ও উন্নতমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন লোকজনের অভাবে সাধারণ নাগরিকেরা সেখানেও শিকার হচ্ছেন আরেক জটিলতার।

জমি কেনাবেচা, পাসপোর্ট সংগ্রহ, টিকাদান, কোন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরি, ব্যাংক হিসাবসহ রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্মকান্ডের সাথে একজন নাগরিকের পরিচয়পত্র ওতোপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত ও বাধ্যতামূলক।

নির্বাচন কমিশনের স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে অনেকে আনন্দের চেয়ে নিরানন্দই হচ্ছেন বেশি।অনেকগুলো পরিচয়পত্রে বাংলায় কোন নাগরিকের নাম সহিশুদ্ধভাবে লিখা হলেও ইংরেজিতে বরাবরই উল্টো।

জেলার সদরের ধর্মপুরের মোহাম্মদ সেলিমের স্মার্ট কার্ডে নিজের নাম বাংলায় মোহাম্মদ সেলিম লিখা থাকার নিচে ইংরেজিতে রয়েছে এমডি শফিক। এ কার্ডে তার পিতার নাম ছিদ্দিক আহমেদের স্থলেও রয়েছে অশুদ্ধ বাংলা।

আবার, অনেকের নাম বাংলায় পুরো মোহাম্মদ লিখে ইংরেজিতে মাত্র এমডি লিখেই তৈরী করা হয়েছে এসব পরিচয়পত্র।

একইদশা , সরকারের শিক্ষাবোর্ড সমূহেও। এখানেও কখনো প্রার্থীর নাম, কখনো পিতার নাম ; আবার কোন সময়ে নিজের ও পিতার নামই উল্টোপাল্টা লিখে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতাসম্পন্ন সনদকেও একটি অন্তসারশূণ্য সনদে পরিণত করছেন।

বোর্ড সমূহের এসব ভুলের খেসারতে অনেক শিক্ষার্থী সনদের ভুলে যথাসময়ে ভালো কোন প্রতিষ্ঠানেও চাকুরির সুযোগ হাত ছাড়া করতে হচ্ছে।

অপরদিকে, শিক্ষাবোর্ডের দায়িত্বশীল কম্পিউটার বিভাগের অদক্ষ লোকজনের ভুলের মাসুল হিসেবেও রয়েছে শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক দায়দশা। ভুল কর্তৃপক্ষের হলেও শিক্ষার্থীরা এর সংশোধন করতে সরকারের কোষাগারে নগদ টাকা প্রদানের রসিদসহ নোটারী পাবলিকের মাধ্যম শুদ্ধতা প্রচার করে পত্রিকায় দিতে হয় সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি।

এসব করতে এসব শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হলেও বিপরীতে শিক্ষাবোর্ডের কারো যেন কিছুই যায় আসেনা।  উপরন্ত, আবার এসব শুদ্ধ সনদ নিতেও বোর্ড করণিকদের দিতেও হয় বাড়তি সুবিধা।

একজন শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষাবোর্ডের সংঘটিত ভুলের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীকে এ জন্য কমপক্ষে ৪/৫ হাজার টাকার আর্থিক হয়রানির শিকার হতে হয়। আবার অর্থনৈতিক হয়রানির পাশাপাশি রয়েছে পদে পদে ভোগান্তিও।

একটি সূত্র জানায়, এসব দপ্তরের করণিক পদের প্রায় চাকুরিজীবি আর্থিক সুৃবিধার বিনিময়ে নিয়োগ লাভের কারণে প্রায়জনের যোগ্যতা ও দক্ষতা চরম হাতাশাজনক। অথচ, তাদেরই সংঘটিত ভুলের খেসারতে সাধারন মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত হলেও এসব অযোগ্যরা যোগ্যের ভান ধরে সরকারের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ঠিকই লুফে নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেছেন তাদের কিছু ভুলে স্মার্ট কার্ডে অনেকেরই নাম, ঠিকানা ভুল আসছে।

 

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!