নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী : উন্নয়ন ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠেছে রংবেরঙের চাইনীজ রেষ্টুরেণ্ট। যেসবের অনেকগুলোরই আদৌ চাইনীজ খাবার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধ্যান ধারণা নেই বললেই চলে।
আবার অনেকগুলোর নেই আইনগত বৈধতা। মাত্র একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই অনেকে শুরু করেছেন এর কারবার।
তবে অভিযোগ ওঠেছে, সেখানে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে অনৈতিক কাজ, বেহায়াপনা , অসামাজিক আর রমরমা অশ্লীলতার উন্মাদনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নোয়াখালীর প্রায় এলাকায় যেসব চাইনীজ রেষ্টুরেণ্ট গড়ে ওঠেছে সেসবের প্রায়গুলোর অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে চলে রমরমা যৌনতার অস্বাভাবিক কার্যকলাপ। মুঠোফোনের সূত্রে এসবে আড্ডা জমায় অনেক প্রবাসীর স্ত্রীরাও।
জানা গেছে, প্রায় চাইনীজে ব্যবসার নামে কিছু স্থানীয় দালাল ধরনের লোক জড়িয়ে সমাজব্যবস্থায় এক চরম অসামাজিক ও বেহায়াপনা কারবার উস্কে দিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যে সময়ে বিদ্যালয় বা কলেজে থাকার কথা ঠিক সে সময়ে এসবে প্রায় ওঠতি বয়সী ছেলে মেয়েরা আড্ডা জমায়। এ সময় দোকানীরাও অন্ধকারাছন্ন একান্ত টেবিলে নামীদামি খাবার দিয়ে মোটা অংক হাতিয়ে নিলেও যেন কারো কিছুই বলার নেই।
জেলার একজন সরকারী কর্মকর্তা একটি চাইনীজের এমন চিত্র তুলে ধরে বলেন, সামাজিক জীবনে এমন অসামাজিকতার অবক্ষয় চিত্র দেখে দৈনন্দিন রাস্তায় চলাচলকারীদের সামাজিক জীবনের প্রত্যাশিত পরিবেশ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।তিনি বলেন, নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে এসব রেষ্টুরেণ্টে যাওয়াও বিব্রতকর।
আরেকজন সরকারী কর্মকর্তা এসব ছেলেমেয়েদের অভিভাবকদের পারিবারিক দায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করছেন। তিনি বলেন, অভিভাবকরা নিজের ছেলেমেয়েদের বিষয়ে যথাযথ খোঁজখবর না নেয়ায়, যে সময়ে এসব ছেলেমেয়েরা শ্রেণীকক্ষে থাকার কথা; সে সময়ে তারা এসব রেষ্টুরেণ্টের অন্ধকার পরিবেশে সময় কাটানো ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে খুবই বেদনাদায়ক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী জানান, এ যুগে ছেলে মেয়েরা নিজের পছন্দের জায়গায় আড্ডা দিতে সুৃবিধাবোধ করে। সেকারণে আমরাও এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছি। তিনি বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপ সবগুলোতে হয়না। পাশাপাশি বসে আর কি।
Leave a Reply