গণপূর্তের নোয়াখালীর জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ চলছেই

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৫, ২০২২
  • 277 পাঠক

প্রতিবেদক, দৈনিক দিশারী


নোয়াখালীর গণপূর্ত বিভাগের জমিতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ নোটিশ ও মাইকিংয়ে কোন ধরনের তোয়াক্কাই করছেন না ভূমিদস্যুরা। শহরের দোকান ভিটির নামে এক সনা বন্দোবস্ত লাভকারীরা বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ, বাসভবনসহ গণপূর্তের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখছেন।

অবশ্য গণপূর্ত বিভাগ দাবি করছে, ইতোপূর্বের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান দায়িত্বকালীন সময়ে শতাধিক দখলকারীর বিরুদ্ধে উচ্ছেদ নোটিশ দিলেও রাজনৈতিক কর্তামহলের মদদে দখলদাররা অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তাদেরও জানা রয়েছে।

জানা যায়, শহরে গণপূর্তের জমি অবৈধভাবে দখলদারদের নির্মাণাধীন স্থাপনা উচ্ছেদের মাইকিং করা হলেও অবস্থা যেন কে শুনে কার কথা। একদিকে চলছে উচ্ছেদের লোকদেখানো নোটিশপত্র, অন্যদিকে অবৈধ দখলদাররা দাপটের সঙ্গেই গণপূর্তের জমি দখল, বিক্রয় ও স্থাপনা নির্মাণ কাজ সবই করছেন।

জেলার সচেতন সমাজ বলছেন, নোয়াখালীর গণপূর্তের জমির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে গোপনীয় লেনদেনকে পুঁজি করে গণপূর্তের জায়গা দখলে নিয়ে বেচাকেনাা ও ভাড়া দিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন অনেক অবৈধ দখলদার।

গণপূর্ত বিভাগ জানান, নোয়াখালী পৌরসভায় প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে প্রায় ৩ একর সম্পত্তি রয়েছে। এতে কিছু লোক এক সনা বন্দোবস্ত নিলেও পরবর্তীতে তা আর দীর্ঘায়িত হয়নি। আর এ সুযোগে এসব জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ও হচ্ছে ভবন বা বহুতল ভবন।

এছাড়া গণপূর্তের জমি কৃষি বরাদ্দ নিয়েও নির্মাণ করা হচ্ছে একাধিক স্থাপনা ও মার্কেট। তবে গণপূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর ভূমিকা নেই বলেই দখলদাররা উচ্ছেদ কিংবা কোন ধরনের নোটিশের তোয়াক্কাই করছেন না।

এ কারণে সম্প্রতি নোয়াখালীর সোনাপুর-মাইজদীর চারলেন সড়কের অধিগ্রহণকালে যার ৫ ফুট অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সে পেছনে কমপক্ষে ২০ ফুট জায়গা দখলে নিয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন একাধিক ব্যক্তি।

আবার কিছু ব্যক্তি পার্শ্বে মালিকানা জমির সঙ্গে গণপূর্তের জমিতেও বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে।

জেলার সাম্যবাদী দলের এক নেতা অভিযোগ করেন, প্রকৃত বাস্তুহারারা গণপূর্তের জমিতে সামান্য টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করলেই তা নিমিশেই গুঁড়িয়ে দেন নোয়াখালী প্রশাসন। কিন্তু বিত্তশালীরা রেলের জমিতে অবৈধভাবে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করলে দখলদারদের বিরুদ্ধে কিছুই করা হয় না। কারণ মোটা অঙ্কের অর্থ বাণিজ্য হয় এক্ষেত্রে।

এ বিষয়ে নোয়াখালী গণপূর্তের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, অবৈধভাবে গণপূর্তের জমি দখলদারদের কোনো ছাড় দেয়া হবেনা। যে কোন সময়েই তারা উচ্ছেদ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের কোন ম্যাজিষ্ট্রেট নেই। পুলিশও নেই। আমরা অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পেতে চিঠি দিতে হয়। তাদের অনুমতি পেলে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হয়।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!