অনুমোদনহীন ভবনের তথ্য নেই নোয়াখালী পৌরসভায়

  • আপডেট সময় সোমবার, মার্চ ১৩, ২০২৩
  • 400 পাঠক

ডেস্ক রিপোর্ট

————
কিছুদিন আগে জেলার গাবুয়া এলাকায় একটি বহুতল ভবন হেলে পাশের টিকে বিপদগ্রস্থ করে তুলেছিল। গাবুয়া এলাকায় হেলে পড়া ভবনের মালিক দাবি করেন, তাঁর ভবন হেলে পড়েনি। আর তিনি কোথা থেকে অনুমোদন নিয়ে এ ভবন করছেন তাও জানাতে পারেননি।

ভূমিকম্পের পর জেলার অনেক জায়গায় বেশ কিছু বহুতল এধার ওধার হলেও সবই সহজ ও স্বাভাবিকভাবে হজম করছেন ভবনের মালিকরা। এসব ভবনসমূহ পৌরসভা কিংবা সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে ওঠেছে বছর বছর। বেশির ভাগ ভবন নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, ট্রাফিক পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের ছাড়পত্রও নেয়া হয়নি। সম্প্রতি ভূমিকম্পে এ জেলায় বেশ কিছু ভবনে ফাটল দেখা দেয়ার চিত্র রয়েছে।

নোয়াখালী পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, শহরের প্রায় এলাকায় অনুমোদন ছাড়াই অনেক বহুতল ভবন গড়ে ওঠেছে। পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শহরজুড়ে পাঁচ তলার অধিক কয়েক শত ভবন গড়ে ওঠেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পৌরসভা থেকে দুইতলা বা তিনতলা পর্যন্ত নকশার অনুমোদন নিয়ে দশতলা পর্যন্ত বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ জানান, শহরে ঠিক কতটি অনুমোদনহীন ভবন রয়েছে, সেই পরিসংখ্যান পৌরসভার কাছে নেই। এমনকি শহরে অনুমোদিত ভবনের সংখ্যা কত বা কী পরিমাণ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, তারও তথ্য নেই। তবে গত কয়েক মাসে পৌরসভা থেকে বিভিন্ন ভবন মালিকের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

জেলা পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ট্রাফিক ব্যবস্থা যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়, এ জন্য ভূগর্ভস্থ পার্কিং সুবিধা রাখার শর্তে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকেও ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত শহরে ভূগর্ভস্থ পার্কিং সুবিধা আছে এমন ভবনের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি। এ ছাড়া দুর্যোগকালে উদ্ধার তৎপরতায় পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের জন্য প্রতিটি বহুতল ভবনের সামনে ৩০ ফুট প্রশস্থ রাস্তা থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগেরই তা নেই। এতে দুর্যোগকালে ওই সব এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য গাড়ি পৌঁছাতে পারবে না।

পৌরসভার প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, চলতি মাস পর্যন্ত অনেক অবৈধ ভবন মালিকের বিরুদ্ধে পৌরসভা থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পেয়ে কেউ কেউ শর্ত সাপেক্ষে নকশা অনুমোদন নিলেও পরে আর সেই শর্ত রাখেননি।

এদিকে অনুমোদনহীন ভবন মালিকের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো হলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো ভবন মালিকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়নি এমন প্রশ্নে পৌরসভার একজন কাউন্সিলর বলেন, ‘তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ যে ধরনের সহযোগিতা দরকার, তা আমরা পাই না। সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অধিকাংশ ভবনের মালিকেরাই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেন না। এখানে যোগদান করার পর একজন ভবন মালিকও আমার কাছে ছাড়পত্র নিতে আসেননি।’

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!