ফের দখলে নোয়াখালীর ছাগলমারা খাল, পানির পথ বন্ধ করে আইডি ভবন !

  • আপডেট সময় সোমবার, মার্চ ২০, ২০২৩
  • 298 পাঠক
Exif_JPEG_420

 

ডেস্ক রিপোর্ট

————-

নোয়াখালী পৌরএলাকার ছাগলমারা খালটি ফের দখল হয়ে চলছে। খালটি ঘিরে একশ্রেণীর দখলদাররা যে যেভাবে পারছে দখল করে নিমার্ণ করছে বহুতল মার্কেট, দোকান-পাট ও আলিসান বাসা-বাড়ি।

সূত্র জানায়, ১/১১ সরকারকালে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে খালটি মাইজদীস্থ আল ফারুক একাডেমি হতে শুরু করে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তের হাট হয়ে নোয়াখালী খাল পর্যন্ত সংস্কার করা হয়েছিল।

এরপর বর্তমান মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেলের সময়েও সাবেক জেলা প্রশাসক তন্ময় দাসের সমন্বয়ে সংস্কার করা হয়। একপর্যায়ে, দীঘদিন ধরে খালটির আর সংস্কার কাজে হাত না দেয়ায় ফের দখল হয়ে চলছে পুরোনো কায়দায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাইজদী পৌর বাজারের পোলের পশ্চিম পাশে চারলেন সড়কের আয়তকারে পোল নির্মাণ করা হলেও বাস্তবে পশ্চিম পাশের খালটির পুরোটাই দখল করে সেস্থলে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন। খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পোলটিও এখন আর কোন কাজে আসছেনা বলে জানান স্থানীয়রা।

জানা যায়, জেলার দু’জন বিশিষ্ট ঠিকাদার ইসমাইল মিয়া ও গোলাম জিলানী দিদার নিজেদের প্রভাব, প্রতিপত্তি ও রাজনৈতিক শক্তি মত্তার বলয়ের ওপর ভর করে প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারী খাল দখল করে হয়েছেন এ ভবনের মূল কারিগর। সূত্র জানায়, এই দু’ঠিকাদারের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে হয়েছে আইডি ভবন। অবশ্য, তারা ভবনের জায়গাটি গণপূর্তের বলে দাবি করেন।

তবে, গণপূর্ত বিভাগ কাউকে কোন বন্দোবস্ত দিয়েছেন বলে জানাতে পারেননি নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব। তিনি বলেন, আমি তো এসেছি ৯/১০ মাস হয়েছে। আমার সময়ে কোন বন্দোবস্ত হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখে জানাবো, আসলে ওই জায়গাটি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে কিনা।

স্থানীয়রা বলেন, যদি তাও হয় ! সে স্থলেও গণপূর্তের জায়গায় ভবনের নামে ছাগলমারা খালটি দখলের কোন কারণ সমীচীন নয়।

স্থানীয়রা বলেছেন, ইতোপূর্বে স্থানীয় সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীকে ভুল বুঝিয়ে খালটি দখল করে আইডি ভবনের নামে ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। তারা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আইডি ভবনের ফলক উন্মোচন করায় ভয়েও কেহ প্রতিবাদের সাহস দেখাননি।

স্থানীয়রা জানান, খালটিতে পানি চলাচলের পথ পুরোটাই বন্ধ করে বহুতল ভবন নিমার্ণ করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই আল ফারুক একাডেমিসহ আশেপাশের বাসা বাড়িগুলো পানিতে একাকার হয়ে যায়।

এ বিষয়ে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল বলেন, ছাগল মারা খালটি আবারো সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। খালের কোন অংশ কেউ দখল করলেও জনস্বার্থে পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ করার অধিকার কারো নেই।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!