দিশারী রিপোর্ট
————-
বয়স্ক ভাতার কার্ড পেতে একেকজন সুবিধাভোগীকে গড়ে ২ হাজার ৬৫৩ টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের এ ঘুষ দেন ভাতাপ্রত্যাশীরা। কারণ, ঘুষ না দিলে ভাতা পাওয়ার তালিকায় তাঁদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয় না। ঘুষ দিতে না পারায় ভাতা কার্ড পাননি, এমন ঘটনাও ঘটেছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে এমন তথ্য ওঠে এসেছে।
—————-
জরিপের তথ্য
—————-
বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ঘাটতি নিরূপণ এবং এর কার্যকারিতা বৃদ্ধির বিষয়ে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এ জরিপ করা হয়।
৩০ এপ্রিল , রোববার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত এক সংলাপে জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল তুলে ধরে সিপিডি। ক্রিশ্চিয়ান এইডের সহায়তায় এ জরিপ করা হয়। জরিপে ঘুষের বিষয়টি ছাড়াও বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রাপ্তির নানা ভোগান্তি ও অসংগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
সিপিডি জানিয়েছে, জরিপে দেশের ২৯টি উপজেলার ৪৮৬ জনের বয়স্ক ও বিধবা ভাতার সুবিধাভোগীর মতামত নেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছেন ১০৮ জন বয়স্ক, ২০০ জন বিধবা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ১৭৮ জন অভিভাবক। জরিপের স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দারিদ্র্যপ্রবণ এবং যেখানে কম সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষাবেষ্টনী রয়েছে, সেসব স্থানকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
জরিপে ওঠে এসেছে, স্থানীয় পর্যায়ে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা কার্ড করতে গিয়ে একজন উপকারভোগীকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়েছে। আর এসব ঘুষ নিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও সরকারের কর্মকর্তারা।
জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সদস্য আরমা দত্ত এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক মো. মোক্তার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বজলুল হক খোন্দকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ প্রমুখ।
Leave a Reply