নোয়াখালীর হোটেল রেঁস্তোরায় খাবার পণ্যে গলাকাটা দাম

  • আপডেট সময় শুক্রবার, মে ১৯, ২০২৩
  • 171 পাঠক

দিশারী রিপোর্ট

————

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন হোটেল, রেঁস্তোরায় খাবার পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে দিয়েছে দোকানীরা। এসব মনগড়া ও গলাকাটা দাম আদায়কারী প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কোন তদারকি সংস্থারও নজর নেই।

বাজারে চিনির দাম বাড়ার অজুহাতে ৫ টাকার চায়ের দাম এখনও ১৫ টাকা। এভাবে চলছে গত প্রায় এক বছর। একইভাবে, সময়ে সময়ে বাজারে বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ার অজুহাতে বেড়ে চলছে হোটেলের ভাতের প্লেট, তরি-তরকারী, মাছ, মাংসের দামও।

আবার, অনেক হোটেলের ভেতরের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও দৃষ্টিকটু। রয়েছে পুরোনো তেলের সাথে বিভিন্ন ধরনের রানা-বান্না করার অভিযোগ। এসব হোটেলের বাজে ও নিম্মমানের খাবার খেয়ে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ধরনের পেটের পীড়ায় ভুগছেন মানুষ।

যে পোড়া মোরগের দাম নেয়া হতো ১৬০/১৭০ টাকা, দাম বাড়ার অজুহাতে সেটা একলাফে বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। মোরগের দাম কমলেও আজো সেই গ্রীলের দাম কমার খবর নেই এখানে।

জেলা শহরের প্রায় খাবার হোটেলে দেখা গেছে, মাত্র ৫ টাকার বেকারীর বনে সামান্য দুধের গুড় মিশিয়ে মিষ্টি নামীয় বন প্রচার করে তাও বিক্রয় করছে ২৫ টাকায়। প্রতিটি পরোটা বিক্রয় হচ্ছে ১৫ টাকায়। কয়েক জন গ্রাহক বলেন, এ শহরে ভাল মানের কোন বিনোদন স্থান নেই। সে কারণে সাধারণ মানুষ এসব হোটেলেই আড্ডা জমায়।

এদিকে, জেলার কবিরহাট বাজারের বেশ কিছু হোটেলে পরোটা ও চা ১০ টাকা দামেই বিক্রয় করতে দেখা গছে। আবার, তুলনামূলকভাবে কবিরহাটসহ অন্যান্য উপজেলায়ও খাবারের দামের এমন আকাশচুম্বী খবর নেই। অবস্থাদৃষ্টে এসব দেখারও যেন কেউ নেই। অবশ্য, এ বিষয়ে জেলার একজন দায়িত্বশীর সরকারী কর্মকর্তা দায়সারাগোছে বলেন, এসব হোটেলে না খেলেইতো হয়!

অতিরিক্ত দামের বিষয় একাধিক হোটেল মালিকের কাছে জানতে চাইলেও কোন সদুত্তোর দেননি তারা। সার্বিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ মানুষ মনে করেন, জেলা শহরে হোটেল ব্যবসা নয়, হোটেলের বাহ্যিক অঙ্গসৌষ্ঠব সজ্জিত ও আলিসান ভাব দেখিয়ে মূলত সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ব্যবসা যেন।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!