০৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

নোয়াখালী পৌর ডিলারদের দুর্নীতির প্রশ্রয়দাতা কে ? জেলা খাদ্য দপ্তরও নিশ্চুপ ?

  • Akash Md. Jasim Editor
  • আপডেট: ১০:২৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

দিশারী ডেস্ক। ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।

নোয়াখালী পৌরএলাকার তালিকাভুক্ত ডিলারদের সংঘটিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে। এ ডিলারদের সংঘটিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার ফলে দেশে হতদরিদ্র্য মানুষের মাঝে সরকারের স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণ কর্মসূচির মহৎ উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি পৌর এলাকার বেশ ক’জন ডিলার দত্তের হাট খাদ্য গুদাম থেকে ৭১ বস্তা চালের বিপরীতে ৩০ বস্তা উত্তোলন করে বাকীটা লোপাট করেছেন। এ অপকর্ম করছেন তারা দিনের পর দিন। এছাড়া নির্ধারিত চাল ৫ কেজি ও আটা ৫ কেজির স্থলে ৩ কেজি পরিমাণেরও কম দিয়ে গ্রাহকদের প্রতারিত করছেন তারা।

সূত্র জানায়, গত ৩ এপ্রিল, বৃহষ্পতিবার গুদাম থেকে চাল নিয়ে মাঠের কোন গ্রাহকের কাছে এক কেজিও সরবরাহ করেননি ডিলার আবদুল মতিন। একইভাবে গত ৬ এপ্রিল, রোববারও সংঘটিত হয়েছে এমন ঘটনা।

৮ এপ্রিল, সোমবার গুদাম থেকে ৭১ বস্তা চাল উত্তোলনের স্থলে ৩০ বস্তা নিয়ে তা থেকে ২ বস্তা স্থানীয় শ্রমিকদের কাছে বিক্রয় করার অভিযোগও রয়েছে ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে।

তবে এ বিষয়ে ডিলার সমিতির নেতা পরিচয়দানকারী আবদুল মতিন মুঠোফোনে বলেন, তারা যে পরিমাণ চাল পান বাস্তবে মাঠে গ্রাহকের সংখ্যা আরো বেশি। যে কারণে ১০০ জনের চাল অনেক সময় ১৩০ জনকে দিতে গিয়ে এমনটা করছেন বলে দাবি তার। তারা রাজনৈতিক দলসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, পরিদপ্তরের অর্থ্যাৎ জায়গায়-জায়গায় চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করছেন। একইসঙ্গে, তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও প্রতিমাসে নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ডিলারদের এমন দাবি ঠিকনা। তারা নিজেদের চুরি জায়েজ করতে গিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীদের সামান্য কিছু সহায়তা করতে পারেন, তাও নির্ধারিত না। অভিযোগ ওঠেছে, আবদুল মতিনই প্রতিনিয়তই সেসব ডিলারের কাছ থেকে মোটা অংকের এসব মাল কিনে চৌমুহনীতে বিক্রয় করেন।

সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে সংঘটিত অপরাধের দায়েও ডিলার আবদুল মতিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে একাধিকবার ধৃত হয়েছেন।

স্থানীয়রা বলেন, তাদের এমন অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা উপজেলা ও জেলা খাদ্য কার্যালয়। তারা অভিযোগ করেন, এসব ডিলারদের থেকে জেলা ও উপজেলা খাদ্য দপ্তর মোটা অংকের নির্ধারিত আর্থিক সুবিধা পান বলেই তারাও এমন অব্যবস্থাপনাকে জায়েজ করে দিচ্ছেন।

অবশ্য এমন অভিযোগের সত্যতা জানতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি তা না ধরায় দাপ্তরিক বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নোয়াখালী পৌর ডিলারদের দুর্নীতির প্রশ্রয়দাতা কে ? জেলা খাদ্য দপ্তরও নিশ্চুপ ?

আপডেট: ১০:২৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

দিশারী ডেস্ক। ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।

নোয়াখালী পৌরএলাকার তালিকাভুক্ত ডিলারদের সংঘটিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে। এ ডিলারদের সংঘটিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার ফলে দেশে হতদরিদ্র্য মানুষের মাঝে সরকারের স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণ কর্মসূচির মহৎ উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি পৌর এলাকার বেশ ক’জন ডিলার দত্তের হাট খাদ্য গুদাম থেকে ৭১ বস্তা চালের বিপরীতে ৩০ বস্তা উত্তোলন করে বাকীটা লোপাট করেছেন। এ অপকর্ম করছেন তারা দিনের পর দিন। এছাড়া নির্ধারিত চাল ৫ কেজি ও আটা ৫ কেজির স্থলে ৩ কেজি পরিমাণেরও কম দিয়ে গ্রাহকদের প্রতারিত করছেন তারা।

সূত্র জানায়, গত ৩ এপ্রিল, বৃহষ্পতিবার গুদাম থেকে চাল নিয়ে মাঠের কোন গ্রাহকের কাছে এক কেজিও সরবরাহ করেননি ডিলার আবদুল মতিন। একইভাবে গত ৬ এপ্রিল, রোববারও সংঘটিত হয়েছে এমন ঘটনা।

৮ এপ্রিল, সোমবার গুদাম থেকে ৭১ বস্তা চাল উত্তোলনের স্থলে ৩০ বস্তা নিয়ে তা থেকে ২ বস্তা স্থানীয় শ্রমিকদের কাছে বিক্রয় করার অভিযোগও রয়েছে ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে।

তবে এ বিষয়ে ডিলার সমিতির নেতা পরিচয়দানকারী আবদুল মতিন মুঠোফোনে বলেন, তারা যে পরিমাণ চাল পান বাস্তবে মাঠে গ্রাহকের সংখ্যা আরো বেশি। যে কারণে ১০০ জনের চাল অনেক সময় ১৩০ জনকে দিতে গিয়ে এমনটা করছেন বলে দাবি তার। তারা রাজনৈতিক দলসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, পরিদপ্তরের অর্থ্যাৎ জায়গায়-জায়গায় চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করছেন। একইসঙ্গে, তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও প্রতিমাসে নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ডিলারদের এমন দাবি ঠিকনা। তারা নিজেদের চুরি জায়েজ করতে গিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীদের সামান্য কিছু সহায়তা করতে পারেন, তাও নির্ধারিত না। অভিযোগ ওঠেছে, আবদুল মতিনই প্রতিনিয়তই সেসব ডিলারের কাছ থেকে মোটা অংকের এসব মাল কিনে চৌমুহনীতে বিক্রয় করেন।

সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে সংঘটিত অপরাধের দায়েও ডিলার আবদুল মতিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে একাধিকবার ধৃত হয়েছেন।

স্থানীয়রা বলেন, তাদের এমন অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা উপজেলা ও জেলা খাদ্য কার্যালয়। তারা অভিযোগ করেন, এসব ডিলারদের থেকে জেলা ও উপজেলা খাদ্য দপ্তর মোটা অংকের নির্ধারিত আর্থিক সুবিধা পান বলেই তারাও এমন অব্যবস্থাপনাকে জায়েজ করে দিচ্ছেন।

অবশ্য এমন অভিযোগের সত্যতা জানতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি তা না ধরায় দাপ্তরিক বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।