শিক্ষিকাদের অভিযোগ, তিনি অশালীন, প্রধানের দাবি, এসব বানোয়াট

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৩
  • 614 পাঠক

——————————————————————————————-

সুবর্ণচর হাজী লাল মিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

——————————————————————————————–

নিজস্ব প্রতিনিধি।৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরওয়াপদার হাজী লাল মিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মদের বিরুদ্ধে অয়িনম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠেছে।

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নোয়াখালী জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মদ যথাসময়ে বিদ্যালয়ে আসেননা। ১০ টা বা সাড়ে ১০ টায় আসার পর দুপুর দু’টা বা পৌনে তিনটার মধ্যে তিনি বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান।

অভিযোগ ওঠেছে, কোন শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ বা অন্য কারণে ছুটিতে থাকাবস্থায় শ্রেণী শিক্ষা পাঠদানে কোন ধরনের দায়িত্ব পালন না করে অফিসকক্ষে বসে মনের আনন্দে গাণ শোনেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের বন্ধুদের নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসেও আড্ডা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

শিক্ষিকা রিংকী পাল, ফাতেমা তুজ জোহরা ও অজিবা খাতুন স্বাক্ষরিত অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি শিক্ষিকাদের অশালীন আচরণসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছেন। কোন শিক্ষিকা হিজাব পরে এলে তিনি তাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। একই সময়ে শিক্ষিকাদেরও পরকিয়া প্রেমের বাহনায় নানাভাবে ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন ফিরোজ আহম্মদ।

কোন শিক্ষিকা কোন ধরনের অসুস্থ্যজনিত কারণে ছুটি চাইলে তিনি তাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা মূল্যায়ন পরীক্ষণে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদের ওপর তার দায়িত্বটুকু নিজে পালন না করে অন্য শিক্ষিকাদের ওপর চাপিয়ে দেন।

সংশ্লিষ্ট অভিযোগ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মদ বলেন, এসব বানোয়াট অভিযোগ।তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের  সহকারী শিক্ষিকা রিংকী পাল একটি ট্রেনিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি না গিয়ে নিজের স্থলে অন্য শিক্ষিকা ফাতেমা তুজ জোহরাকে পাঠিয়েছেন। আমি এ বিষয়ে জিঞ্জাসা করতে গেলেই তারা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছেন। আমি উপরোক্ত বিষয়ে তাদেরকে গত ১ অক্টোবর তারিখে নোটিশ করার পর, তারা ২ তারিখে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিয়োগ দিয়েছেন ।

তিনি বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার একজন শিক্ষক নেতা নাছিম ফারুকীর দৌরাত্ম্যে তারা আমার বিরুদ্ধে এসব করছেন।

অবশ্য বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগটা দেখেছি। তবে শিক্ষিকারা আমাকে কখনো কিছু বলেননি।

এসব বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, আমার টেবিলে এখনো এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!