————————————————————————————————————————–
হুঁশিয়ারী : এক শাহজাহানকে জেলে রেখে নির্বাচনী খায়েস পূরণ করতে পারবেননা
—————————————————————————————————————————-
নিজস্ব প্রতিনিধি। ১১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
নাশকতার অভিযোগে আট বছর আগে রাজধানীর ভাটার থানায় পুলিশের দায়ের করা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো.শাহজাহানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার বছরের কারদণ্ডের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর শহীদ মিনার সড়কে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নোয়াখালী জেলা বিএনপি এ কর্মসূচির আয়েয়াজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, এজাহার বর্হিভূত মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহানকে কারাগরে নিয়ে নির্বাচন থেকে দুরে রাখবেন ? নির্বাচন নিয়ে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১৪ আর ২০১৮ এর বাস্তবায়নের কোন স্বপ্ন থাকলে তাও বন্ধ হয়ে যাবে।এবার আর রাম-সাম, যদু-মধুকেও ভোটে আনতে পারবেননা।
সেতুমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনার এ খেলা বাংলাদেশে তারেক রহমানের দলের একটি নেতাকর্মি বেঁচে থাকতে খেলতে দেয়া হবেনা। নেতাদের জেলে দিলেও আপনাদের অধীনে নির্বাচন করতে দেবনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, চামচাগিরিটা বন্ধ করেন, দালালি বন্ধ করেন। নির্বাচনের তফসিল নিয়ে খেলা বন্ধ করেন। নোয়াখালীতে একঘন্টার নোটিশে যে নেতার জন্যে লাখ লোকের সমাবেশ হয় সেই শাহজাহানকে জেলে দিয়ে নির্বাচন করা যাবেনা।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার অধীনে আমরা আর ১৮ এর খেলা খেলতে যাবোনা। বিস্কুট, চা খাওয়াইছেন। গণভবনে নিয়েছেন, বিশ্বাস করেছিলাম, অন্তরে বিশ্বাস ছিল। আমাদের নেত্রী জেল থেকে বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনেছি আমি। এ দেশকে ভালোবাসি, এ দেশকে বাঁচাতে হবে। এ দেশের জন্য আমাদের ১৮ এর নির্বাচনে যেতে হলো। সেই নির্বাচনে আপনি কি করলেন, কি দেখালেন। হায়রে জাদু, কয় আমিতো ঘুমায়ে পড়ছি, আমিতো দেখেনি, এই কারবার হইছে ? অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সাত দিন আগ থেকে দেশের খবর রাখেনা। সেই প্রধানমন্ত্রীর অধীনে বিএনপি আর নির্বাচনে যাবেনা।আপিন যে রাষ্ট্রের আমানত খেয়ানতকারী সেটা এখন শিশুটাও বিশ্বাস করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, এডভোকেট আব্দুর রহিম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য মাহবুব আলমগীর আলো, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্লাহ্ বাহার হিরণ, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাবু কামাখ্যা চন্দ্র দাস, জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান প্রমূখ।
বিএনপি নেতারা বলেন, বাংলাদেশে যে ক’জন শান্তিপ্রিয় রাজনীতিক রয়েছেন তাদের মধ্যে মো. শাহজাহানও অন্যতম। তাঁর দিকবিদিক জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তাকেও সাজার চকে ঘেরাও করে নিয়েছে। তারা হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, এক শাহজাহানকে জেলে রেখে নির্বাচনী খায়েস পূরণ করতে পারবেননা। লক্ষ শাহজাহান আপনাকে আর ছেড়ে দেবেনা।
Leave a Reply