চাইনা সরকারের শাব্দিক নিরপেক্ষতার কাব্যিক ব্যবহার

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৫, ২০২৪
  • 98 পাঠক

আকাশ মো. জসিম। ১৫ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি, সমাজের আক্ষেপগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ বেশি জরুরী নই। দেখছি, এখানে যে যার সুবিধা মতো নিজের একচ্ছত্র সুবিধা ভাগিয়ে নিতে চায়। যা  আরেকটি বৈষম্যমূলক সমাজ রুপান্তরের চরিত্রের চেয়ে কম নই। অথচ, এ সময়ে নিজেকে প্রশমন করাটাও কম দায়িত্বপূর্ণ কাজ নই।
বাংলাদেশ সদ্য পুনরুদ্ধারকৃত গণতান্ত্রিক দেশ। যদি কোন ব্যক্তি বাদে, শুধুমাত্র দলকেই নিষিদ্ধ করে রাজনীতি করতে হয় ; তাহলে আওয়ামী লীগের চরিত্র আর এ সরকারের কিংবা অন্য সরকারের চরিত্রের মৌলিক পার্থক্যটা কোথায় ?
১ ) আমরা মনে রাখি, মাত্র কারো হিংসার বদলে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বির্নিমাণ কিংবা কোন সভ্যতন্ত্রই টেকসই হয়না। আমরা ফের আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যক্তি, সমাজ আর অসভ্যতার আয়নাঘরে ফিরতে চাইনা। বরং আমরা চাই, অত্যাচারীমহলের সব ধরনের অন্যায়, অবিচার ও হত্যাকান্ডের অতিব দ্রুত, জরুরী সুবিচার ।
২) ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শামিল হওয়া নিহত পরিবারগুলোর পাশে ক’জনাই-বা উদার হয়েছি ! সারাজীবনের জন্যে পঙ্গু হওয়া শিশু হতে বয়োবৃদ্ধ মানুষগুলোর জন্যে স্বৈরতন্ত্রের অবসানের পর দৃশ্যত এমন কিই-বা করেছি ! বরং একটি প্রত্যাশিত মানবতা, মানবিকতা আর মহানুভবতায় নিজেকে প্রসারিত করতে পারলে ফের স্বপ্ন দেখতে পারি আরেকটি গণতান্ত্রিক স্বপ্নিল বাংলাদেশের বাস্তবতা।
৩) আমরা যেন আরেকটি বৈষ্যমের দিকে ছুটে চলছি ! বিগত ১/১১ সরকারকালে বিএনপি, জামাত ও আওয়ামী লীগ কেহই রাস্তায় প্রকাশ্যে সভা, সমাবেশ করতে পারেননি। কিন্তু, এখন পলাতক আওয়ামী লীগ ছাড়া যে যার খুশিমতো রাজপথে। তাও একেকদিন, একেক দাবি। যাতে একটি নিরপেক্ষ সরকারের রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডও কম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেনা ? আমাদের পরিষ্কার মনে আছে, ১৯৯০ সালের সরকারে আন্দোলনকারীদের কেহও বসেননি। ছাত্র-জনতার কেহও। সে কারণে আমরা মনে করি, যে কোন রাজনৈতিক দলের সব ধরনের সভা, সমাবেশ অর্ন্তবর্তী সরকারকালেও রোধ থাকা নিশ্চয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার জন্যে প্রমাণযোগ্য, প্রত্যাশাময় ও জরুরী।
সঙ্গতকারণে , আমরা এ সরকারের শাব্দিক নিরপেক্ষতার কাব্যিক ব্যবহার দেখতে চাইনা। আমরা চাই, এ সরকার আইন-কানুন, বিচার-বিধির নিরপেক্ষ প্রয়োগ ব্যবস্থায় যেন হয় একটি সুন্দর, প্রত্যাশিত ও নাগরিকবান্ধব আগামীর বির্নিমাণে  প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!