দিশারী ডেস্ক। ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪।
বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিষয়ক গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের রিসার্স ফেলো তাজনোয়ারা সামিনা খাতুন।
গবেষণায় দেখানো হয়, বাংলাদেশের জমির উর্বরতা দিন দিন কমছে। আর শ্রম উৎপাদনশীলতা বাড়ছে। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জমির উর্বরতা ছিল ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত উর্বরতা কমে হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এ ছাড়া শ্রমের উৎপাদনশীলতা ১৯৯১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। জমির উর্বরতা ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত কমেছে শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে গবেষণায় বলা হয়, মাটির ক্ষয়, উর্বরতা কমানো, টেকসই কৃষিকাজ না করা। এর ফলে আগের তুলনায় লাভ কমেছে তবে উৎপাদন খরচ ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ বাড়লেও দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
————————————————————————————————-
গবেষণায় বলা হয়েছে, চালের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। প্রতি কেজি চালের উৎপাদন খরচ ২০১২ সালে ছিল ১০ টাকা ৫১ পয়সা। সেটি বেড়ে ২০১৫ সালে হয়েছে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা এবং ২০১৮ সালে ১২ টাকা ৮৮ পয়সা। ১২ থেকে ১৮ পর্যন্ত কয়েক বছরে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
————————————————————————————————-
এক কেজি চাল বিক্রি করে লাভ হতো ২০১২ সালে ১৬ টাকা ১৭ পয়সা, ২০১৫ সালে ১৬ টাকা ৫২ পয়সা এবং ২০১৮ সালে ১৭ টাকা ৪৮ পয়সা। এ ক্ষেত্রে গড় লাভ আসে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। মোট উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিক্রি করা অর্থের লাভজনকতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমছে।
কৃষকরা তাদের বিনিয়োগে কম রিটার্ন পাচ্ছেন। কারণ তাদের উৎপাদিত পণ্যের দামের তুলনায় খরচ দ্রুত বাড়ছে। এ প্রবণতা ধান চাষিদের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
গবেষণায় দেশে কৃষি উৎপাদনশীলতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সম্পদের ব্যবহার সম্পর্কে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। জমির উর্বরা শক্তি বাড়াতে মাটির স্বাস্থ্য উন্নত করা, উর্বরতা পুনরুদ্ধার করতে নিয়মিত মাটি পরীক্ষা, জৈব সার প্রয়োগ এবং একই জমিতে ফসলের ঘূর্ণন (ভিন্ন ভিন্ন ফসল চাষ) করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply