ডিভোর্স ডটকমে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পরিসংখ্যান অনুসারে জেনে নেয়া যাক, কোন ১০ পেশাজীবীর মধ্যে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ ——
দিশারী ডেস্ক । ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট পেশাজীবীর মধ্যে বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি হয়
১. বারটেন্ডার
তালিকায় সবার ওপরে আছেন বারটেন্ডাররা। তাঁরা বারে পানীয় তৈরি ও পরিবেশন করেন। এই পেশাজীবীদের মধ্যে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ।
২. এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স আর্টিস্ট
দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স আর্টিস্টরা। পেশাগত কারণে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে মানসিক চাপ, অনিরাপত্তাবোধ, ঈর্ষা, প্রতারণার মতো বিষয়গুলো অতিমাত্রায় বেশি থাকে।
৩. উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা
এটি এমন এক পেশা, যেখানে সব সময় মানসিক চাপে থাকতে হয়। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে এই পেশাজীবীদের মানসিক দূরত্ব থাকে। তাঁদের জীবনসঙ্গীরা একাকিত্ব ও সম্পর্কে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এ কারণে স্বাভাবিক একটা দাম্পত্য জীবনের অভাবে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা।
৪. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী
এসব পেশাজীবীর কাছে সব সময় প্রথম প্রাধান্য থাকে রোগী, জীবনসঙ্গী নয়। এই পেশাজীবীরা খুব কমই সঙ্গী বা পরিবারকে সময় দিতে পারেন। তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গীর মানসিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন।
৫. গেমিং সার্ভিসেস ওয়ার্কার
যাঁরা ক্যাসিনোতে কাজ করেন বা জুয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জীবনযাপনের ধরনের কারণে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে।
৬. ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস
অনেকের কাছে খুবই আকর্ষণীয় চাকরি। এই পেশাজীবীরা বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পান। বেতনও তুলনামূলকভাবে ভালো। তবে আপনার কাছে যতই আকর্ষণীয় আর গ্ল্যামারাস লাগুক না কেন, পেশাটি কম চাপের নয়। ক্রমাগত ভ্রমণের কারণে তাঁরা শাররিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত থাকেন। লম্বা সময় পরিবার থেকে দূরে থাকা ও ‘ লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ ’ চালিয়ে নেয়া সহজ কথা নয়।
৭. কাস্টমার কেয়ার, টেলিমার্কেটের ও সুইচবোর্ড অপারেটর
এসব পেশাজীবী সব সময় চেয়ারে বসে থাকেন। পুরো সময় ফোনে কথা বলেন। ফোনের অপর পাশের ব্যক্তির ঝাড়ি খান, গালি খান। ঠান্ডা মাথায় মানুষের সমস্যার সমাধানও দিতে হয়। এ কারণে তাঁরা মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। মানসিক চাপ থাকে ভীষণ। ফলে জীবন থেকে সুখ বিষয়টা দূরে চলে যায়। আর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। তাঁদের নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রয়োজন।
আপনি এর পরেরবার যখন তাঁদের কারও সঙ্গে বিভিন্ন সেবা নিয়ে আপনার বাজে অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা বলবেন, যথাসম্ভব নরম স্বরে কথা বলুন। মনে রাখবেন, আপনার ভোগান্তি বা অসুবিধার জন্য তাঁরা দায়ী নন। তাঁরা কেবল জীবন চালানোর জন্য চাকরি করছেন।
৮. ডান্সার ও কোরিওগ্রাফার
বিশেষ করে ব্যালে ডান্সারদের মধ্যে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ। পেশাজীবনে সর্বোচ্চ সফলতার দেখা পাওয়ার জন্য তাঁদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তাঁদের ফিটনেস বজায় রাখা খুবই জরুরি। শরীরে ব্যথা, ফ্র্যাকচার, লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া, হাড় ভাঙা—এ রকম নানা শাররিক সমস্যায় ভোগেন তাঁরা। নিজেদের শরীর নিয়ে হীনম্মন্যতা ও অসন্তুষ্টিতে ভোগার হারও তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পেশাজীবীরাই সবচেয়ে বেশি ‘ ইটিং ডিজঅর্ডার ’–এ ভোগেন। তাঁদের একটা বড় অংশ অসুখী। তাই তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অপর ব্যক্তি যে সুখী হবেন না, এটাই তো স্বাভাবিক!
৯. ম্যাসাজ থেরাপিস্ট
জীবনসঙ্গীরা এই পেশাজীবীদের পেশা নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় ভোগেন।
১০. টেক্সটাইল নিটিং ও ওয়েভিং মেশিন অপারেটর
তাঁরা চাকরিজীবন নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন। শাররিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরেন। এটা তাঁদের মানসিক চাপ বাড়ায়। এর প্রভাব পড়ে মেজাজ, মানসিক স্বাস্থ্য ও সম্পর্কে।
সূত্র: ডিভোর্স ডটকম
Leave a Reply