দিশারী ডেস্ক ।২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।
মাই সেকেন্ড হোম (এমএমটুএইচ) কর্মসূচির আওতায় ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৫৮ হাজার ৪৬৮ জন সেকেন্ড হোম গড়েছে মালয়েশিয়ায়। সর্বশেষ তথ্যমতে এর মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ৬০৪ বাংলাদেশি, যা গত ৭ বছরে বেড়েছে হয়েছে প্রায় ২৪ গুণ।
গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার সংসদে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে দেশটির ‘ দি স্টার অনলাইন ও নিউ স্ট্রেইটস টাইমস ‘ পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রী দাতুক সেরি টিয়ং কিং সিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মোট অনুমোদনের মধ্যে ৫৭ হাজার ৬৮৬টি অনুমোদন পূর্বের নীতির আওতায় প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৮ হাজার ২০৯ জন মূল আবেদনকারী এবং ২৯ হাজার ৪৭৭ জন ডিপেন্ডেন্ট রয়েছে। তবে কোন দেশের কতজন রয়েছে তা নতুন করে জানায়নি দেশটি।
গত বছরের ২৯ মার্চ, মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রী টিয়ং কিং সিং আরেক এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, দেশটিতে গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৬৬ জন এক্টিভ সেকেন্ড হোম পাস হোল্ডার রয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৭৬৫ জন পাসধারী নিয়ে শীর্ষে ছিলেন চীন। এরপরে যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৪০ জন, জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩ জন এবং বাংলাদেশের ছিলো ৩ হাজার ৬০৪ জন।
দেশটির সংসদে তিনি নতুন করে জানিয়েছেন, নতুন নীতির আওতায় এখন পর্যন্ত ৭৮২টি অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩১৯ জন মূল আবেদনকারী এবং ৪৬৩ জন ডিপেন্ডেন্ট রয়েছে। মন্ত্রী টিয়ং আরও জানান, নতুন শর্তাবলীর অধীনে অনুমোদিত মাই সেকেন্ড হোম পাসধারীদের কাছ থেকে মালয়েশিয়া সরকার আনুমানিক ২৩৩.৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত স্থায়ী আমানত এবং ২২২ মিলিয়ন রিঙ্গিত রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ এসেছে।
২০২৩ সালের জুন মাসে, মন্ত্রী টিয়ং মাই সেকেন্ড হোম কর্মসূচির জন্য সর্বশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেন, যেখানে তিনটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয় – সিলভার, গোল্ড, এবং প্লাটিনাম।
এছাড়াও, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের জন্য একটি বিশেষ ক্যাটাগরি সংযোজন করা হয়। নতুন নীতির অধীনে, এই কর্মসূচি শুধুমাত্র মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা দেশের নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২৫ বছর এবং প্রতি বছর অন্তত ৯০ দিন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করতে হবে।
প্লাটিনাম ক্যাটাগরির জন্য ১০ লাখ মার্কিন ডলার, গোল্ড ক্যাটাগরির জন্য ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং সিলভার ক্যাটাগরির জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার স্থায়ী আমানত হিসেবে বাধ্যতামূলক করেছে।
এছাড়া, আবেদনকারীদের মালয়েশিয়ায় ৬ লাখ রিঙ্গিত থেকে ২০ লাখ রিঙ্গিত মূল্যের সম্পত্তি কিনতে হবে, যা নির্ভর করবে তাদের বেছে নেওয়া ভিসা ক্যাটাগরির ওপর।
Leave a Reply