নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী : নোয়াখালী পৌরএলাকায় দত্তেরহাট এলাকায় ফের ছিনতাইকারী, চোর ও দস্যুদের উৎপাত বেড়ে চলছে। পবিত্র ঈদেও ছিনতাকারীদের এ অপতৎপরতা আরো বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় এ এলাকাটি একটি ছিনতাইকবলিত সমাজে পরিচিত পেয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এলাকার কতেক বখাটে দত্তের হাট বাজারে দৈনন্দিন কোন প্রয়োজনে আসা যাওয়ার পথে যে কোন পথচারীরই সর্বস্ব লুটে ক্ষ্যান্ত করছেন।
ইতোপূর্বে , দত্তবাড়ি মোড় এলাকায় ও এরুপ প্রকাশ্য ছিনতাই, চুরি ও রাহাজানি অহরহ সংঘটিত করতো সেখানকার স্থানীয় কতেক বখাটে। চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও দস্যুতার কবলে এলাকার সাধারণ মানুষ, পথচারী ও ব্যবসায়ীরা নানাভাবে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল।
ওই বখাটে দলের অন্যতম এক যুবক পারিবারিক বিরোধে নিহত হওয়ার পর বর্তমানে এ এলাকাটি এলাকাটি অন্যান্য স্থানের চেয়েও অনেকটা নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিরেশে পারষ্পরিক সহাবস্থান রয়েছে।
তাছাড়া, ওই বখাটের এক চাচাও ভাতিজাকে পিটিয়ে হত্যা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে সমাজকে বিষিয়ে তোলার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে জেলহাজতে রয়েছেন।
সম্প্রতি উত্তর সোনাপুর গোরস্থান মোড় পেরিয়ে দত্তের হাট এলাকার ত্রিমুখী পুকুর ও গোপাই এলাকায় ফের ছিনতাইকারী, চোর ও দস্যুদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়ে চলছে।
জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুরের জিয়াউর রহমান হৃদয় জানান, বৃহষ্পতিবার নিজের সিএনজি ওয়ার্কসপের কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে দত্তের হাট যাওয়ার পথে স্থানীয় গোরস্থান মোড় এলাকায় সালসা মমিন ব্যাপারীর নাতি তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি টার্চ মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ওই বখাটে এ ঘটনায় হৃদয় কারো কাছে বিচার চাইলে প্রাণেহত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি ধমকি প্রদান করে।
জানা যায়, এখানকার পেশাদার চোর, ছিনতাইকারী ও দস্যুরা যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সে সরকারের লোক বনে চলে। তবে রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কতেক নেতা-কর্মী জানান, এ বখাটেদের দৌরাত্ম্যে তারাও অনেকটা কোনঠাসা। স্থানীয়রা এ ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। হৃদয় জানান, এ ঘটনায় সুধারাম থানায়র লিখিত অভিযোগ দেবেন।
সদরের ভাটিরটেকের নবির উদ্দিন জানান, ঈদের আগের দিন তারও একটি দামি মোবাইল ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে এ চক্র। এছাড়াও অনেক পথচারী ও ব্যবসায়ী এ এলাকায় নানাভাবে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, দত্তের হাটে এক সময় জেলার সদরের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যে কোন ধরনের জিনিসপত্রের বিকিকিনির জন্যে এ বাজারই ছিল প্রধান ভরসা। চারদিকে তুমুল হাঁকডাক ছিল বাজারটির। গরুর জন্যে দেশের অনেকগুলো বাজারের মধ্যে এটি একটি আর্ন্তজাতিক বাজারই বলা যেতো। দিনের পর দিন কতেক বখাটে ও বাটপারের দালালি, চুরি ও ছিনতাইয়ের কারণে এ বাজারটির গরুর হাটও এখন মৃতপ্রায়। অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও দিনদিন বাতি নিভিয়ে গুটিয়ে নিচ্ছেন নিজের ব্যবসা বাণিজ্যের পরিধিসহ সুস্থ্য সামাজিকতা।
Leave a Reply