নির্বাচন গেলো, নির্বাচন এলো, ধর্মপুরের ওই রাস্তাটি আর পাকাকরণ হলো না

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, মে ১১, ২০২৩
  • 161 পাঠক

নিজস্ব প্রতিনিধি

————-
তিনটি নির্বাচন চলে গেলো, সরকার দলের প্রার্থী পাস করলো, এখন আরেকটা নির্বাচন চলে এলো, কিন্তু রাস্তা আর পাকাকরণ করা হলো না। ফলে জনদুর্ভোগ চরমেই রয়ে গেলো। এভাবেই মনের কষ্ট ব্যক্ত করলেন, নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুরের হাফেজিয়া নগরের ভুক্তভোগী মানুষগুলো।

জানা যায়, সদর উপজেলার ধর্মপুরের হাফেজিয়া নগর থেকে দক্ষিণে বাবুল মার্কেট পর্যন্ত রাস্তাটি প্রাচীনতম কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তাটি স্থানীয় হাফেজিয়া মসজিদ, মাদরাসা, হাজির হাট, ভাটিরটেক ও বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ভাটিরটেক কলেজ, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানের সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অন্যতম মাধ্যম। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন কৃষকের হাজার টাকার কাঁচামাল বাজারজাত করা হয় বিভিন্ন হাট-বাজারে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেছেন, এ রাস্তাটি পাকা হলে কৃষি শিল্পে আরও উৎপাদন বাড়বে।

এই রাস্তার এক প্রান্তে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ দিন ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তায় বড়-বড় গর্ত, কাদা ও পানির জলাবদ্ধতার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল, মাদরাসা ও কলেজে যাতায়াতে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। অসুস্থ, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রাস্তাটিতে অবর্ণনীয় কষ্টের চলাফেরায় এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে দিনাতিবাহিত করছেন।

এলাকাবাসী বলেন, এখানকার স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনী মাঠের এক উঠোন বৈঠকে রাস্তাটি পাকাকরণের আশ্বাস দেন। এরপর তিনটি নির্বাচনই চলে গেলো। সবই নগদ কথা। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনকি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম শামছুদ্দিন জেহানও কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ও কথা রাখেননি।

তবে ২০১৭ সালে রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী নোয়াখালী সদর উপজেলার প্রস্তাবনায় গ্রাশীন প্রকল্পের পাতায় একটি আইডি নম্বর মোহরযুক্ত হয়েছিল। কিন্তু তাও এ পর্যন্ত সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে পাকাকরণের মখুরোচক সুখকর খবর শুনা গেলেও চোখ রাঙিয়ে আর তার দেখা মেলেনা আজো।

এ বিষয়ে হাফেজিয়া নগরের প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ ছায়েদল হক সাহেবের এক সুযোগ্যপুত্র বলেন, এ রাস্তাটি সম্পূর্ণই আমাদের জায়গার ওপর দিয়ে বহমান। এটি ছিল এক সময় আমাদের বাড়ির দরজা। পরবর্তীতে, এ দরজাটির সাথে বিভিন্ন স্থানের সংযোগ পথগুলো সংযুক্ত হয়। একপর্যায়ে তা বাড়ির দরজা হলেও আমার বাবা হাফেজ ছায়েদল হক সাহেব দৈনন্দিন স্থানীয় ও বিভিন্নমহলের জনগণের চলাফেরার সুবিধার্থে তা জনগণের জন্যে উন্মুক্ত রাস্তা হিসেবে ছেড়ে দেন। কিন্তু, তাতেও আমার বাবার জীবদ্দশায় বাড়ির দরজা হিসেবে যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে, আজো ঠিক এর চেয়ে বেশি কিছু হয়নি।অথচ, এ পথে প্রতিদিনই হাজার হাজার লোক চলাফেরা করে।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!