নোয়াখালী পৌরসভার ছাগলমারা পুনরুদ্ধারে নজর দিন !

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, মে ২৩, ২০২৩
  • 205 পাঠক

আকাশ মো. জসিম
সম্পাদক

—————
নোয়াখালী শহরের ছাগলামারা খালটি ফের দখল হয়ে চলছে। খালটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে সঠিক কোন তদারকি না থাকায় একশ্রেণীর সুবিধাবাদী, দখলদার, ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা খালটি নিজের সুবিধামতো দখল করে নিচ্ছেন।

এক সময় ছাগলমারা খালটি পশ্চিমে ইসলামীয়া সড়কের পাশের খালের সাথে সংযোগ থাকলেও গত ক’বছর ধরে দখলদারিত্ম্যের দৌরাত্ম্যে সেসবের নাম নিশানাও প্রায় মুছে গেছে।

বর্তমানে শহরের আল ফারুক একাডেমির পাশের অংশে এটি নালায় রুপান্তরিত হয়ে পৌর বাজারের মুখে ছাগলমারার সাথে নামমাত্র মিলন রয়েছে। কিন্তু, ইতোমধ্যে এ স্থলে এসে ওই নালটির অস্তিত্বেরও প্রায় যবনিকাপাত হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর বাজারের পোলের পশ্চিম পাশের অংশ দখল করে জনৈক ঠিকাদাররা সেখানে করছেন আইডি ভবন। এ নিয়ে ইতোপূর্বে কতেক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হলেও টনক নড়েনি ভবনের কর্ণধারদের। সচেতনমহল বলেছেন, তারা কোটিপতি পর্যায়ের মানুষ। তাই নিজেদের সংঘটিত কোন কর্মকান্ডের কোন বাদ-প্রতিবাদ তারা আমলে নেননা !

অবশ্য এ বিষয়ে পৌর মেয়র সহিদ উল্যাাহ খাঁন সোহেল বলেছেন, দখলদার যে হোক, তাঁর কাছে কোন ছাড় নেই। তিনি বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তবে সে কথার উচ্চারণের পরও পেরিয়ে গেছে অনেক সময়। আজো বাস্তবতার কোন দর্পন চোখে পড়েনি।

শহরের বৃহদংশজুড়ে ছাগলামারা খালটি ছাড়া পানি নিষ্কাশনের বিকল্প কোন ব্যবস্থাও নেই। একটু বৃষ্টি হলে টের পাওয়া যায় জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবতায় ও বাস্তবায়নে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কারো কোন মাথাব্যথা নেই।

এদিকে, রৌশন বাণী সিনেমা হলের একটু দক্ষিণে রাস্তার পূর্ব পাশে ছাগলমারা খালের অর্ধাংশ দখল করে নিয়েছে মেহরাহ ডাইন নামের একটি বেসরকারী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। জনশ্রুতি রয়েছে যে, এ ভবনের মালিকরাও নাকি রাজনীতি প্রবণ। জানা গেছে, দু’টি শক্ত রাজনৈতিক দলে রয়েছে তাদের শক্ত অবস্থান। সে কারণে তাদের এহেন দখলদারিত্ম্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম উচ্চবাচ্চ্য করলেও, তাতেও নাকি কারো কর্ণপাত নেই।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ বর্ষায় পৌর উদ্যোগে খাল সংস্কার না করলে কিংবা ধ্বজভঙ্গ নালা নির্মাণ ব্যবস্থার কারণে শহরবাসী চরম জলাবদ্ধতায় শিকার হয়ে নানা বিপর্যস্ততা পোহাবে। এমতাবস্থায়, পুরোপুরি বর্ষা শুরুর আগে ছাগলমারা খালটির দখল পুনরুদ্ধার ও পানি চলাচলের পথ স্বাভাবিক না করলে অচিরেই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির প্রমাণ পাবে শহরবাসী।

প্রসঙ্গত, খালটি বিভিন্ন সময়ে দখল হয়েছে। আবার, জঞ্জালমুক্তকরনেও প্রশাসনেকে উদ্যোগী হতে দেখা গেছে। সাবেক জেলা প্রশাসক তন্ময় দাসের কর্মযজ্ঞতায় এ খালটি দখলদারদের ছোবল থেকে উদ্ধার করা হয়। যেমন করা হয়েছিল ১/১১ সরকারকালে। এরপর আর সংস্কার কাজে হাত না দেয়ায় ফের পুরোনো চেহারায় ফিরছে এটি।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!