নিম্নমানের বই থেকেই ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট !

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
  • 66 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপিয়ে গত এক যুগে লুটপাট করা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা! এর মধ্যে শুধু ২০২৩ সালেই ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৯ টাকার অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।

——————————————–

এক যুগের লুটপাট 

——————————————–

বইয়ের মান ও আকার কমিয়ে এবং নিউজপ্রিন্টে ছাপিয়ে লোপাট করা হয় ২৪৫ কোটি টাকা, আর অযাচিত বিল, অতিরিক্ত সম্মানী, আয়কর কর্তন না করা, অগ্রিম সমন্বয় না করাসহ নানা কারণ দেখিয়ে আরও প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। এতে পাঠ্য পুস্তক ছাপায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

————————————————————-
সূত্র : ভিন্ন দৈনিক

————————————————————

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ২০১০ সাল থেকে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করছে সরকার। মূলত তখন থেকে নিউজপ্রিন্টে নিম্নমানের বই ছাপা শুরু হয়। তবে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বই ছাপায় বড় অনিয়ম করা হয়।

টেন্ডারের সব শর্ত মেনে পাঠ্যবই ছাপার ঠিকাদারি নিলেও কাগজের পুরুত্ব, উজ্জ্বলতা ও টেকসই ক্ষমতা (বার্স্টিং ফ্যাক্টর) কিছুই মানা হয়নি। তারপরও ছাপাখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি তৎকালীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

———————————————————————–

এদিকে সরেজমিনে রাজধানীর প্রেসপট্টি হিসেবে খ্যাত মাতুয়াইলে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রেসে বই মুদ্রণের কাজ চলছে। ছাপাখানায় দরপত্রে উল্লেখিত কাগজের উজ্জ্বলতার শর্ত অনুযায়ী পাঠ্যবই ছাপাচ্ছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান। তবে কয়েকটি ছাপাখানায় নিম্নমানের (নিউজপ্রিন্ট) কাগজে বই ছাপানো হচ্ছে। বই প্রিন্টের পর এর উজ্জ্বলতা আরো কমে যাচ্ছে।

———————————————————————–

২০২৩ সালের মতো গত অন্য ১১ বছরও গড়ে ২৫০ কোটি টাকার মতো লুটপাট করা হয়েছে। সেই হিসেবে গত এক যুগে বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি লোপাট হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এবার সময়মতো পাঠ্যবই ছাপানো ও মানে আপস না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪০ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪১টি পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ চলমান।

গতবারের চেয়ে এবার কাগজের পুরুত্ব ও উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত বছর কাগজের পুরুত্ব ছিল ৭০, আর উজ্জ্বলতা ছিল ৮০। এ বছর কাগজের পুরুত্ব ৮০ এবং উজ্জ্বলতা ৮৫ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বার্স্টিং ফ্যাক্টর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ১৬।

———————————————————————-

সূত্র জানায়, এনসিটিবি বলে দিয়েছে, জানুয়ারির এক তারিখেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই চলে যাবে। যদি কোনো ছাপাখানা মালিক এর ব্যত্যয় করেন কিংবা মান ঠিক না থাকে, তাহলে ডিপিএমের (ডিরেক্ট পারচেজ ম্যানেজমেন্ট) মাধ্যমে আর্মি প্রিন্টিং প্রেস বই ছাপিয়ে বই সরবরাহ করবে।

———————————————————————

এদিকে অভিযোগ ওঠেছে, টেন্ডারের সব শর্ত মেনে পাঠ্যবই ছাপার ঠিকাদারি নিলেও এবারও কাগজের টেকসই ক্ষমতা (বার্স্টিং ফ্যাক্টর) কমানোর অপচেষ্টা করছেন একশ্রেণির মুদ্রাকর। বেশি মুনাফার লোভে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে চাপ দিয়ে বার্স্টিং ফ্যাক্টর ১৬ থেকে নামিয়ে ১০ করতে চান তারা।

জানা গেছে, বইয়ে ব্যবহূত কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমাতে পারলে শত কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা হবে। এই কারণে কমানোর এই তদবিরে কিছু ছাপাখানার মালিকরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, কাগজের তিনটা প্যারামিটার অতি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, কাগজটা কত পুরু বা মোটা। তারপর ব্রাইটনেস মানে উজ্জ্বলতা। তৃতীয় বিষয়টা হলো বার্স্টিং ফ্যাক্টর বা কাগজের শক্তি। যেটা কম হলে কাগজ দুর্বল হবে। বইয়ের পাতা তাড়াতাড়ি ছিঁড়ে যাবে। বইয়ের গুণমান খারাপ হবে।

———————————————————————-

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান সম্প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, টেন্ডারে উল্লেখিত শর্ত মেনে তারা বই ছাপানোর ঠিকাদারি পেয়েছেন। কার্যাদেশ দেয়ার পর বই ছাপাও শুরু করেছেন। এমন অবস্থায় বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। এই দাবি মানা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

———————————————————————-

এনসিটিবির একজন সদস্য বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান দরপত্রের মধ্য দিয়ে কাজ পেয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাদের কাজের মান খারাপ বা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারবে না। এমনটি দেখলে বসে থাকবে না এনসিটিবি। সেক্ষেত্রে ডিপিএমের (ডিরেক্ট পারচেজ ম্যানেজমেন্ট) মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে বই ছাপানোর কাজ দেয়া হবে। এ বছর যদিও তারা ১ কোটি বই ছাপানোর কাজ করছে। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে তাদেরকে আরও ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি বই ছাপানোর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।

মানহীন ২০ হাজার বই বাতিল, আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা :

সূত্র জানায়, প্রাথমিকের পাঠ্য বই ছাপায় অনিয়ম করায় আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্ক করেছে এনসিটিবি। সম্প্রতি এই মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে চিঠি দেয়া হয়। একইসঙ্গে মানহীন প্রায় ২০ হাজার বই বাতিল করা হয়।

আনন্দ প্রিন্টার্সের মালিক মো. রাব্বানী জব্বার। তিনি বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতিরও চেয়ারম্যান। রাব্বানী জব্বার সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ছোট ভাই। এছাড়া রাব্বানী ২০২১ সালে নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, চলতি বছর প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির দুই লটের (৪৯-৫১) বই ছাপার কাজ পেয়েছেন রাব্বানী জব্বার। মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বিনোদপুরে তাদের ছাপাখানা। বই ছাপার কাজ শুরুর পর এনসিটিবির পরিদর্শন টিম সেখানে গিয়ে নানা অনিয়ম পেয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বই ছাপানোর অনেক কাজ পায় আনন্দ প্রিন্টার্স।

নিম্নমানের বই ছাপিয়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগও রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রাকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে একচেটিয়া মুনাফা করা আনন্দ প্রিন্টার্সের স্বত্বাধিকারসহ চার জন ছাপাখানার মালিক এবার বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর তদ্বিরে রয়েছেন।

সক্রিয় প্রেস মালিকদের সিন্ডিকেট :

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবি অনুমোদিত প্রেস রয়েছে প্রায় ৯৫টি। বইয়ের মান নিয়ে যেহেতু আপস হবে না, এটা বুঝতে পেরে এবার ৯৫টি প্রেসই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট করেছে। প্রায় ৪০ ভাগ টেন্ডারে একজনের বেশি টেন্ডার জমা দেয়নি। এই সিন্ডিকেটের কারণে বইয়ের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৬ থেকে ২০ শতাংশ। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা চার জন।

————————————————————————

প্রিন্ট মাস্টারের স্বত্বাধীকারী মো. শহীদুল, আনন্দ প্রিন্টার্সের মালিক মো. রাব্বানী জব্বার, প্রমা প্রিন্টিং প্রেস ও মালিহা প্রিন্টিং প্রেসের স্বত্বাধিকারী মো. মহসীন এবং মোল্লা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক মো. মিন্টু। গত ১২ বছরে নিম্নমানের বই ছাপিয়ে তারা প্রত্যেকে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

————————————————————————

এ ব্যাপারে জানতে তাদের চার জনের সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়। প্রথম তিন জন অভিযোগ অস্বীকার করেন। আর মো. মিন্টু ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে আমিন আর্ট প্রেস অ্যান্ড প্রিন্টিং গতবার বই ছাপার কাজ পেয়েছিল পাঁচটি। তবে এবার প্রেসটি পেয়েছে একটি। তারপরও প্রেসটির মালিক মো. সোহেল খুশি। কারণ বইয়ের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে সিন্ডিকেট করে।

এ ব্যাপারে মো. সোহেলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে চাননি। বিগত সরকারের আমলে তিনি নিম্নমানের বই ছাপিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এনসিটিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এবার টেন্ডারে অংশগ্রহণের ধরন দেখেই আমি বুঝেছি যে সিন্ডিকেট করেই তারা টেন্ডার জমা দিয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে এ ব্যাপারে কিছু করার ছিল না। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

ভবিষ্যতে সমস্যা মোকাবিলায় পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আর্মি প্রেসের সক্ষমতা বৃদ্ধি, এনসিটিবির নিজস্ব প্রেসের দিকে নজর দেয়া কিংবা বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ তৈরি করা গেলে সমস্যাটা সমাধান সম্ভব। পরে যাতে এই সমস্যার উদ্ভব না হয়, সেটার জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি।

বই ছাপানোর কাজ দেয়া নিয়ে অতীতে যত অনিয়ম :

ভারতে গত বছর বই ছাপিয়েছিল প্রিতম্বর বুকস প্রাইভেট লিমিটেড ও পাইওনিয়ার প্রিন্টার্স। এই প্রিন্টার্সকে কাজ দিতে গত ১২ বছর লিয়াজোঁ করেছিলেন সাবেক তিন শিক্ষামন্ত্রী ও তার বলয়ের লোকজন। লিয়াজোঁ রক্ষা করতেন একজন মন্ত্রীর ভাই। এজন্য উৎকোচ নেয়ারও অভিযোগ আছে।

———————————————————————

দুটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে অস্বাভাবিক কাজ দেয়া, নির্ধারিত সময়ে বই না দেয়ার পরও জরিমানা হতো না। সক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি কাজ দেয়া হতো দুটি প্রেসকে। যারা গত কয়েক বছর ধরে বই ছাপানোর কাজ বাগিয়ে নেয়। এমনকি এই দুটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের বই সরবরাহ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

———————————————————————

নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার থেকে পাঁচ মাস দেরিতে বই দেয়ার পরও এনসিটিবি সফটওয়্যার জালিয়াতির মাধ্যমে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বই ডিসেম্বরে ডেলিভারি দেখানো হয়। পুরো জালিয়াতির সঙ্গে এনসিটিবির তত্কালীন চেয়ারম্যান-উত্পাদন নিয়ন্ত্রক জড়িত ছিলেন। এমনকি সেই সময়ে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ জানালেও নেয়া হয়নি ব্যবস্থা।

আবার বিনা মূল্যে বই ছাপার কাগজ কেনায় বড় ধরনের দুর্নীতি করেছে এনসিটিবির একটি চক্র। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বই ছাপানোর কাজে ব্যবহূত কাগজ বাজারদরের চেয়ে গড়ে টনপ্রতি ২০ হাজার টাকা বেশি দিয়ে কেনা হয়েছে। বাড়তি দামে কেনা হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ আর্ট কার্ডও। ফলে সরকারের গচ্চা গেছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, অতীতে মুদ্রণকারীরা ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে বই ছাপতেন। এজন্য তারা বইয়ের আকার সূক্ষ্মভাবে ছোট করতেন। নিম্নমানের নিউজপ্রিন্টে ছাপতেন বই। কাগজের উজ্জ্বলতার নির্দিষ্ট মান কমিয়ে আনা হতো। বাঁধাইয়ের কাজেও নিম্নমানের সুতা ও আঠা ব্যবহার করতেন।

মান যাচাইয়ের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ :

বই ও কাগজের মান যাচাইয়ের এনসিটিবি নির্ধারিত এজেন্ট প্রতিষ্ঠান ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিসেস বিডি।

গত ১২ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রয়েছে মানহীন পাঠ্যবইকে ভালো মান সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগ। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গত ১২ বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে। প্রতি বছর ৫ কোটি টাকা করে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিসেস বিডির স্বত্বাধিকারী শেখ বেল্লাহ হোসেন  বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা নেই। ঘুষ নেয়ার ঘটনাটি তিনি অস্বীকার করেন।

শেখ বেল্লাহ হোসেনের ও তার ভাই বিপ্লব এই দুই জনের দুটি প্রতিষ্ঠান এনসিটিবি নির্ধারিত এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছে গত ১২ বছর। এবারও তারা কাজ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

 

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!