সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কি নির্দেশ ছিল হাসিনার ?

  • আপডেট সময় সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
  • 44 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের দুর্নীতি নিয়ে আল জাজিরা নির্মাণ করেছিল ‘ অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন ’ ডকুমেন্টারি।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ডকুমেন্টারিটি প্রচার হওয়ার পর এর সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা প্রখ্যাত ব্রিটিশ আইনজীবী ডেসমন্ড ব্রাউন কেসির পরামর্শ নিয়েছিলেন।

———————————————————-

অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন

———————————————————-

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিধ্বস্ত গণভবন দেখতে এসে দোমড়ানোমোচড়ানো একটি নথিতে এমন তথ্য পেয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমস। দ্য সানডে টাইমসের খবরে বলা হয়, আলজাজিরায় প্রামাণ্যচিত্র প্রচার হওয়ার পর এটি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্রিটিশ মানহানি বিশেষজ্ঞ ডেসমন্ড ব্রাউন কেসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।

ঢাকায় শেখ হাসিনার সাবেক বাসভবন থেকে পাওয়া ওই নথিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ডেভিড বার্গম্যানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কীভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে বিষয়ে শেখ হাসিনার কর্মকর্তারা ব্রাউনের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার তছনছ করা সাবেক বাড়িতে তার শোয়ার ঘরে পাওয়া ওই নথি থেকে জানা যায়, ব্যারিস্টার ব্রাউন এ ব্যাপারে সহায়তা করতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতেও রাজি হয়েছিলেন।

সানডে টাইমস জানায়, একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে ব্রাউন একজন সলিসিটর (আইনজীবী) নিয়োগের পরামর্শ দেন, যিনি তাঁকে নির্দেশনা দেবেন। তিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইনজীবী জেরেমি ক্লার্ক-উইলিয়ামসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। যার সঙ্গে কয়েক দিন পর বাংলাদেশের কর্মকর্তারা সাক্ষাৎ করে।

তবে পরবর্তীতে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে সানডে টাইমসকে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার ডেসমন্ড ব্রাউন। শেখ হাসিনা সরকারকে প্রাথমিক পরামর্শ দেওয়ার কথাও তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান। তবে আইনজীবী ক্লার্ক-উইলিয়ামস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

———————————————————-

সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ প্রতিবেদনের জেরে যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার ভাইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং বাংলাদেশে হুইসেলব্লোয়ারদের (তথ্য ফাঁসকারী) পরিবারের সদস্যদের খেসারত দিতে হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেভিড বার্গম্যানকে ডকুমেন্টারির মূল হোতা দাবি করে বাংলাদেশে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

———————————————————-

সানডে টাইমস জানায়, হাসিনা সরকার শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মামলা করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসে প্রামাণ্যচিত্রটি সরিয়ে নিতে ইউটিউব ও ফেসবুককে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে উভয় প্ল্যাটফরম বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!