——————————————
আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা
——————————————
নিজস্ব প্রতিবেদক। ২৬ জুলাই, ২০২৩ | আষাঢ়, শ্রাবণ পেরিয়ে গেলেও দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। চারা রোপণের ভরা মৌসুমে ধীরগতিতে চলছে আমন ধানের চারা রোপণ। কৃষি অধিদপ্তর বলছে, পানির অভাবে চারা রোপণে ব্যাঘাত ঘটছে। বৃষ্টি হলেই পুরোদমে চারা রোপণ শুরু হবে।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর উল্লেখযোগ্য হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য জেলার চেয়ে নোয়াখালীতে কিছুটা দেরিতে চাষ করা হয়। আমনের বীজতলা প্রস্তুত রয়েছে। বৃষ্টি হলে চারা রোপণ পুরোদমে শুরু হবে।
সদর উপজেলার এক কৃষক বলেন, কৃষকেরা বীজতলা প্রস্তুত করেছে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় চারা রোপণ শুরু করতে পারছে না। তিনি বলেন, বোরো আবাদে খরা ও লবণ পানির কারণে বড় মার খেয়েছে কৃষকেরা। আমনেও বীজতলা প্রস্তুত এখনো রোপণ শুরু করতে পারেনি। এভাবে প্রতি মৌসুমে মার খেলে কৃষক চাষাবাদে নিরুৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় এলাকায় সরকারিভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করলে চাষাবাদের সুযোগ পাবে কৃষকেরা।
সরেজমিন দেখা যায়, সুবর্ণচরের চরওয়াপদা ইউনিয়নে কয়েক শত কানি চাষযোগ্য জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় জমিতে চাষ দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। কৃষকেরা জানান, জমি প্রস্তুত করে রেখে দেয়া হয়েছে। পানির অভাবে চাষ করা যাচ্ছে না। কারণ আমন আবাদ হচ্ছে পুরোটায় প্রকৃতির পানিনির্ভর। বৃষ্টি হলেই প্রস্তুত করা জমিতে আবাদ শুরু করা হবে। চলতি বছর এলাকায় পতিত ও অনাবাদি জমি চাষাবাদের জন্য গভীর নলকূল স্থাপন করেছেন অনেকে। এই নলকূপের পানিতে বোরো মৌসুমে পতিত জমিতে আবাদ হয়। কিন্তু বিপত্তিতে পড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে। বড় অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল গুনতে হয় চাষিদের।
স্থানীয় কৃষক আলমগীর জানান, সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ বিলে ভর্তুকি দিলেও আমরা এই সুবিধা পাইনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে অনাবাদি ও পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে গিয়ে বড় অঙ্কের মাশুল গুনতে হয়েছে। তিনি বলেন, এখন আমন মৌসুমেও খরার কারণে অনেক জমি চাষযোগ্য জমি এখনো পড়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে, এবারও গভীর নলকূপ চালু করতে হবে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল কে দেবে।
চরজুবলির এলাকার চাষি মুজিব বলেন, বীজতলা ও চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়েছে। পানির অভাবে চারা রোপণ করা যাচ্ছে না। আমন আবাদ হচ্ছে বৃষ্টিনির্ভর। বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে চারা রোপণ ও থোর বের হওয়া পর্যন্ত বৃষ্টির পানিতে চাষাবাদ করা হয়। চলতি মৌসুমে চারা রোপণের ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চাষাবাদ এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। বৃষ্টি অপেক্ষায় প্রহর গুনচ্ছে কৃষকেরা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বোরো মৌসুমে অতিরিক্ত তাপমাত্রা, সেচের পানিতে লবণাক্ততা ও ব্রাস্ট রোগে ধানের ক্ষতি করেছে। সদর, কবিরহাট, সুবর্ণচরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা খরা আর লবণক্ততার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
Leave a Reply