দিশারী ডেস্ক। ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
নোয়াখালীর নাগরিকদের নাম সংশোধনসহ বিভিন্ন সংশোধনী কর্মকান্ড কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে স্থানান্তর হওয়ায় বিপত্তি পোহাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকেরা।
অনলাইনে নোয়াখালীর কোন নাগরিকের নিজের কিংবা বাবা বা মায়ের নাম সংশোধনী আবেদন করার এক বছর পেরিয়েও সংশোধনী কাগজপত্র হাতে পাননি। এমনই অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলার ধর্মপুরের মো. সেলিমের।
তিনি জানান, তাঁর ভোটার আইডিতে নিজের নাম ইংরেজিতে সহিশুদ্ধভাবে মো. সেলিম লেখা থাকলেও একই আইডিতে বাংলায় রয়েছে মোহাম্মদ সফিক। তিনি বলেন, নির্বাচন কার্যালয়সমূহে কিছু আনাড়ি ও অদক্ষ লোকজনের কারণে এসব ভুলের দায়ভার পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগী নাগরিকদের।
আবার, অনলাইনে সংশোধনের আবেদন করে তাতেও হরেক রকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেখানেও তদবির, তালাসি ও আর্থিক সুবিধার যোগান না দিলে সহজে কাজ হয়না। তিনি গত এক বছর আগে নিজের এনআইডিতে থাকা এরুপ ভুল সংশোধনের আবেদন করে আজো দায়ভার বহন করছেন।
মো. সেলিম অভিযোগ করেন, কুমিল্লা কার্যালয়ে গেলে সেখানেও হরেক রকম হয়রানির শিকার হতে হয়। একদিন বলেন, কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন। অন্যদিন আসেন। অন্যদিন গেলে বলেন, পুরো পরিবারের সবার আইডি দিতে হবে। এভাবে নানা হয়রানির চিত্র ওই কার্যালয়ের পরতে পরতে।
অভিযোগ ওঠেছে, সেখানে টাকার বিনিময়ে এনআইডি সংক্রান্ত সংশোধনী কাজ করতে হচ্ছে। কোন নাগরিক ওই কার্যালয়ের একজন করনিকের সাথে আর্থিক সুবিধায় চুক্তিবদ্ধ না হলে সহজেই তার কাজ হয়না।
আরেকজন ভুক্তভোগী সহিদ উল্যাহ বলেন, এ কার্যালয়ে সরাসরি গিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে খুুঁজে পাওয়া যায়নি। এ সময় ওই কার্যালয়ের প্রধান করণিক পরিচয়ে এক ব্যক্তি নিজেকে বেশ দাপুটে দেখান। তিনি কথায় কথায় সাংবাদিক নঈম নিজাম ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতির নিকটাত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রায় আবেদনকারীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন।
সূত্র জানায়, নোয়াখালীর বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের নাম সংশোধনসহ নানা কাজই এ কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্তুপকার হয়ে রয়েছে দিনের পর দিন।
এ বিষয়ে নোয়াখালীর নির্বাচন কার্যালয়ের জেলা কর্মকর্তা বলেন, যেসব কাজ কুমিল্লা কার্যালয়ের অধীনে তা সেখানে গিয়ে করতে হবে। আমরা শুধুমাত্র আমাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করছি।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার অফিসিয়াল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পাওয়ায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা নোয়াখালীর নাগরিকদের এনআইডি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম দেখভালের জন্যে নোয়াখালী কার্যালয়ে দায়িত্বভার দেয়ার জোর দাবি জানান।
Leave a Reply