সুবর্ণচরের ৪টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি করেছেন চেয়ারম্যান সেলিম

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
  • 74 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ৯ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ টি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল, পুণ:ভোট গ্রহণ ও বিভিন্ন কেন্দ্রের বাতিলকৃত ১৯১৪টি ভোট গনণার দাবিতে উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।

৯ মে, বৃহষ্পতিবার, দুপুরের দিকে উপরোক্ত দাবিতে লিখিত আবেদন করেছেন তিনি।

এ সময় লিখিত বর্ণনায় তিনি বলেন, তিনি দোয়াত-কলম প্রতিকের প্রার্থী। তিনি এক সুদীর্ঘকাল নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি সুবর্ণচরের আপামর মানুষের ভোটে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন চেয়ারে জনপ্রতিনিধি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

চেয়ারম্যান সেলিম বলেন, বুধবার, ৮ মে সকালের দিকে চর মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন এন এ প্রো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়ণ কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিযোগ করেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ওসব কেন্দ্রসমূহে তাঁর প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আনারস প্রতিকের কর্মী, সমর্থকগণ সাধারণ, নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় ভোটারগনকে কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়াসহ নানাভাবে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে থাকে।

একপর্যায়ে, ভোটারগণ সব ধরনের বাধা, বিপত্তি অতিক্রম করে সুশৃঙ্খলভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করেন। ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা শুরু হলে তাঁর প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর এজেন্ট ও কর্মীগণ,প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তাগণের যোগসাজসে তাঁর দোয়াত-কলম প্রতিকের কতেক ভোট আনারসের বান্ডিলে বেঁধে গণনা করার চেষ্টা করে।

তিনি উল্লেখ করেন, এ সময় তাঁর এজেণ্টদের আপত্তির মুখে সঠিকভাবে ভোট গোছানোর পর গণনা করা হলে ওই কেন্দ্রসমূহে তিনি জয়লাভ করেছেন বলে গণনায় প্রকাশ পায়।

পরবর্তীতে, তাঁর এজেন্টগণকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে কতেক অব্যবহৃত ব্যালেটে নতুন করে সীল দেয় প্রিসাইডিং, সহকারীসহ আনারসের এজেণ্টরা। তৎপর অন্যায় ও অনধিকারে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করে তাঁকে পরাজিত দেখানোর চেষ্টা করছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেন তারা।

তিনি বলেন, ওসব কেন্দ্রে ভোট গণনার পর নতুন করে ভোট সংযোজন করায় ভোটের ফলাফল মারাত্মক প্রভাবিত হয়েছে। যা প্রত্যাশিত জনরায় বিরোধীও। যাতে সরকারের ভাবমূর্তি দারুনভাবে ক্ষুন্ন হয়। এমতাবস্থায় ওসব কেন্দ্র সমূহের ভোটের ফলাফল স্থগিতক্রমে সেসব কেন্দ্রসমূহে সম্পূর্ণ নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবি করেছেন তিনি।

বর্তমান পরিষদের চেয়ারম্যান এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, বেসরকারী ফলাফলে দেখা যায় পুরো উপজেলায় তাঁর ১৯১৪ টি ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায়, অন্যায্য, একতরফা, অবৈধ এবং অযৌক্তিক। তিনি বলেন, বাতিলকৃত ভোটগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে তাঁর দায়িতপ্রাপ্ত এজেন্টগণ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কোন ধরনের কর্ণপাত করেননি।

এছাড়া স্থানীয় ভোটারদের অভিযোগ, বেশকিছু প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারীরা চুক্তিকৃত অর্থের বিনিময়ে খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের প্রতিপক্ষের হয়ে কাজ করেছিলেন।

অবশ্য লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে। আইনগতভাবে তিনি এ মুহুর্তে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারছেননা। এছাড়া নির্বাচনের সাথে কতেক সংশ্লিষ্টদের অবৈধ লেনদেন বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

এসব বিষয়ে আনারস প্রতিকের প্রার্থী ও সদর, সুবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য মো. একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন না ধরায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!