দিশারী ডেস্ক। ১ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
নোয়াখালীর সদর উপজেলার মধ্য ধর্মপুরে চোর, ছিনতাইকারী ও বাটপারের উপদ্রবে শান্তি হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সংঘটিত চুরি, ছিনতাইসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুধারাম থানা পুলিশকে জানানোর পরেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।
তবে সুধারাম পুলিশ বলেছে, কোথাও কোন বাটপারকেই তারা ছেড়ে দেননা। ধর্মপুরের ঈদগা সমাজে সংঘটিত চুরি, ছিনতাই ও বাটপারির দায়ে স্থানীয় কয়েকজন বখাটের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও রুজু রয়েছে বলে থানা সূত্র জানায়।
ভুুক্তভোগী মেসার্স সন্ধীপ স্টোরের মালিক এমডি কাউসার অভিযোগ করেন, গত ১৮ জানুয়ারি বাহারেরর পুত্র শান্ত, নাছিরের পুত্র আফসার, সামাদের পুত্র শান্ত, রাহাতসহ সংঘবদ্ধরা সংগঠিত হয়ে তার দোকানের তালা ভেঙ্গে কয়েক লাখ টাকার মালামাল ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে, সংঘবদ্ধরা ঘটনাটির বিস্তারিত সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয়দের কাছে জবানবন্দি দেয়। কাউসার জানান, সংঘবদ্ধদের অভিভাবকদের জানালেও আদৌ কোন বিচার পাননি।
কাউসার, শাহনাজ আক্তার ও মুন্না যৌথস্বাক্ষরে সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে স্থানীয় কামরুল হাসান, ডা. ফেরদৌস, ইমরান, সুমন, শাহিন, আবুল খায়ের, সিরাজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও আবুল বাসারকে স্বাক্ষীর পাতায় নাম রেখে পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। যার একটি অনুলিপি দৈনিক দিশারী’র বরাবরে প্রেরণ করেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে নোয়াখালীর ডিবি পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে বিহিত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে নির্দেশ দেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনার দায়ে বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই করেনি।
এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে ওই চোরের দল স্থানীয় মুন্নার বসত ঘরে ডুকেও বেশ ক’টি দামি মোবাইল, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ সময় চুরির ঘটনাটি টের পেয়ে মুন্না এক চোরকে ধরতে চাইলে জুতো রেখে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে অভিযুক্ত চোরদের বিচার না হওয়ায় এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, এ চোররা প্রকাশ্যে ডাকাতি, ছিনতাই করলেও এদের রুখার সাধ্য কারো নেই। নাকি সমাজের বিচারপতি কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা চুরির ভাগ নিয়ে চুপসে থাকেন!
উল্লেখ্য, ধর্মপুরের হাফেজিয়া নগরেও ইতোপূর্বে বেশ ক’টি দোকান ঘরের টিন কেটে ঘরে ডুকে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আথিক ক্ষতি করেছে চোরের দল। এছাড়া প্রায় বাড়িতেও বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া, সমাজে বিভিন্ন জাতীয় নেশাজাত দ্রব্যও প্রসারিত করছে এ বাটপাররা।
Leave a Reply