নোয়াখালীর ম্যাটসে উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকার লোপাট

  • আপডেট সময় সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
  • 128 পাঠক

——————————————————————————————————–
নোয়াখালী সরকারী চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণার্থীদের আবাসন, সীমানা প্রাচীরসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন নির্মাণে বিভিন্ন কার্যাদেশে, বিভিন্ন দরপত্রের আদলে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ ওঠছে। বাস্তবতায়ও ঘটেছে ব্যাপক হরিলুট, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।

——————————————————————————————————–
দিশারী রিপোর্ট। ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।

স্বাভাবিক চোখে দেখলে নির্মানাধীন ভবনের স্থাপত্য স্থায়িত্ব মান কেমন তা অতিসহজেই বুঝা যায়। মানহীন ও অত্যন্ত নিম্মমানের ইট, বালু, রড, খোয়া ও পাথর দিয়ে দায়সারাগোছে সম্পন্নের পথে নোয়াখালী চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণার্থীদের জন্যে বরাদ্ধকৃত আবাসন।

বালক প্রশিক্ষণার্থীদের জন্যে এ আবাসনটির ফাউন্ডেশন পাঁচ তলা হলেও করা হয়েছে মাত্র দোতলা বিশিষ্ট। মাত্র কয়েক বর্গফুটের এ ভবনের নিমার্ণ ব্যয় ধরা রয়েছে ৩ কোটি, ৭৫ লাখ, ৯৮ হাজার ৩৩২ টাকা।

 

——————————————————————————————————-

নোয়াখালী চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র 

——————————————————————————————————-

তবে দায়িত্বশীলমহল মাত্র একটি দ্বিতল আবাসন ভবনের জন্যে এমন বরাদ্ধকে বাড়তি বলে অস্বীকার করে সহকারী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেছেন, এটিই যথার্থ। কোনভাবেই এমন বরাদ্ধকে অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় বলতে নারাজ তিনি।

যে ভবনটি কোন ব্যক্তি উদ্যোগে করা হলে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকার মধ্যে সব কিছুই সম্পন্ন করা যেতো বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা মনে করেন, এসবই লোকদেখানো উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাটের নামান্তর।

অবশ্য, সরকারের তদারকি মহল ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলছেন, সবই ঠিক আছে। তারা জানান, এর চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়।

সরেজমিনে রড, বালু, নিম্মমানের খোয়া ও পাথরের ছবিসহ তদারকি সংস্থা তথা নোয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কাজ কর্ম, সব কিছুই দেখেন সহকারী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান।

এ বিষয়ে  সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, আমরা ঠিকাদারদের সাথে কথা বলবো। এলাকাবাসী ও চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষের ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কাজ প্রায় সম্পন্ন। কিছুদিনের মধ্যেই এটি তারা বুঝে নেবেন।

তিনি আরো জানান, এ কাজটি ঢাকা থেকেই টেন্ডার হয়েছে। বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম কিরনের লাইসেন্সে এটি নেয়া হয়েছে। বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক কাজটি শেষ করছেন হৃদি কন্সট্রাকশন। যার স্বতা¡ধিকারী নোয়াখালী জেলা যুবলীগের আহবায়ক ইমন ভট্র বলে জানান তিনি।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এ কাজটির কার্যাদেশ হয়। যাতে ৮ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। তবে কাজটি মাঠপর্যায়ে ইমনের পক্ষে যুবলীগের এক সদস্য তদারকি করছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে হৃদি কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ইমন ভট্রকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পাওয়ায় তার মতামত নেয়া যায়নি।

 

 

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!