নোয়াখালীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে

  • আপডেট সময় শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৪
  • 69 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ১২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।

নোয়াখালী জেলার ৯ উপজেলায় ৮৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এসব ইউনিয়নের অধিকাংশ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামীপন্থি অধিকাংশ চেয়ারম্যানই গা ঢাকা দিয়েছেন। তারা এলাকায় নেই। কেউ থাকলেও তারা সতর্কভাবে চলাফেরা করছেন। একাধিক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

ফলে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত এবং নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে এলাকাবাসী আন্দোলনও শুরু করেছেন।

তবে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কিছু ইউনিয়নের দায়িত্ব দেয়া কোন কোন সরকারী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে। অন্যগুলোতে প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

——————————————————————-

নাগরিক সেবা ব্যাহত

——————————————————————-

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নোয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত (হেফাজত ) ও পূর্বচরমটুয়ার ফয়সল বারী চৌধুরী (বিএনপি সমর্থক) বাদে সব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এছাড়া আন্ডারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আটক করে যৌথবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে।

অবশ্য ক’জন চেয়ারম্যান দাবি করেছেন , তাদের কতেক মামলায় আসামী করায় তারা আপাতত নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছেন।

সুবর্ণচর উপজেলার আটজনই আওয়ামী সমর্থক চেয়ারম্যান। যদিও ক’জন স্বতন্ত্র পদে বিজয়ী হয়েছেন। তবে তারাও সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থিত। এরা এখন কেউ আর এলাকায় নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কবিরহাট উপজেলায় সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তারা এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়ও জামাত সমর্থিত একজন ছাড়া সবাই আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান। তারাও আত্মগোপনে রয়েছেন। হাতিয়ায় প্রায় চেয়ারম্যানই আত্মপোগনে রয়েছেন। এর মধ্যে নলচিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বেগমগঞ্জ উপজেলায় একটি বাদে প্রায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তাদের এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে, আওয়ামী লীগের সমর্থক একজন চেয়ারম্যান যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

সোনাইমুড়ি উপজেলায় সব চেয়ারম্যানই আওয়ামী লীগের। তারাও বর্তমানে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। চাটখিল উপজেলায় সবাই আওয়ামী সমর্থক। তবে এখন তাদের এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

সেনবাগ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে যারা বিজয়ী হয়েছেন, তারা এলাকায় থাকলেও সতর্কভাবে চলাফেরা করছেন।

এদিকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীপন্থি চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতির কারণে নাগরিক সেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। জনগণ প্রয়োজনের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে পাচ্ছেন না। ফলে ভোগান্তির মাত্রা বাড়ছে।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!