গত ৩০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে ডায়াবেটিসের হার

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
  • 11 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

গত তিন দশকে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের হার দ্বিগুণ হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ডায়াবেটিসের হার সবচেয়ে বেশি। একটি গবেষণায় এই তথ্য সামনে এসেছে।

দ্য ল্যানসেট জার্নালের নতুন বিশ্লেষণ অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৯৯০ সালে ডায়াবেটিস থেকে গুরুতর স্বাস্থ্যের সমস্যা যেখানে সাত শতাংশের মতো ছিল তা ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে।

ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নিয়ে, গবেষকদের দল অনুমান করেছে যে ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখন ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত, ১৯৯০ সালে সংখ্যাটি ছিল ২০০ মিলিয়নেরও কম। টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রধানত মধ্যবয়সী বা বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে যারা ইনসুলিনের প্রতি তাদের সংবেদনশীলতা হারায়।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জাপান, কানাডা বা পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ যেমন ফ্রান্স এবং ডেনমার্কের মতো কিছু ধনী দেশগুলিতে ডায়াবেটিসের হার একই রয়ে গেছে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার কমেছে।ডায়াবেটিস এবং চিকিত্সাবিহীন ডায়াবেটিসের বোঝা নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে বহন করছে।

উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী এখন ডায়াবেটিক। গবেষকরা জোর দিয়েছিলেন যে স্থূলতা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।

ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলিতে ডায়াবেটিস কীভাবে চিকিৎসা করা হয় তার মধ্যে ব্যবধানও বিস্তৃত হচ্ছে। ৪৪৫ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্কর মধ্যে ৩০ বছরের বেশি বয়সী পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত – ২০২২ সালে ডায়াবেটিসের জন্য অনেকেই চিকিৎসা পাননি বলে অনুমান গবেষকদের।

ভারত একাই সেই সংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ বহন করছে। সাব-সাহারান আফ্রিকায়,২০২২ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মাত্র ৫থেকে ১০ শতাংশ চিকিত্সা পেয়েছে। কিছু উন্নয়নশীল দেশ যেমন মেক্সিকো তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত জনসংখ্যার চিকিৎসায় ভালো করছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক ব্যবধান বাড়ছে।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের প্রবীণ গবেষক মজিদ ইজ্জাতি জানাচ্ছেন- এটি বিশেষ করে উদ্বেগজনক কারণ নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কার্যকর চিকিৎসার অভাবে আজীবন জটিলতার ঝুঁকিতে থাকে। এই জটিলতার মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, কিডনির ক্ষতি বা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস-বা কিছু ক্ষেত্রে অকাল মৃত্যু।

সূত্র : এনডিটিভি।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!