দিশারী ডেস্ক ||
স্বাদের তারতম্য আনতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। রান্নায় হোক, কিংবা কাঁচা খেতে জ্বালপ্রেমীদের প্রিয় এটি। অনেকে তো প্লেটে কাঁচা মরিচ না হলে খেতেই পারেন না।
অ্যাসিডিটির সমস্যায়ও এটি ক্ষতি করে না, তাই চিকিৎসকরাও কোনো নিয়ম বেঁধে দেন না। বরং কাঁচা মরিচ নিয়মিত খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি আমেরিকার হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সায়েন্টিফিক সেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায় কয়েক ধাপ।
গবেষণাটি চালানো হয় আমেরিকা, চীন, ইতালি, ইরানের মানুষদের ওপর। যাতে অংশ নেন প্রায় ৬ লাখ। তাদের স্বাস্থ্য এবং খাদ্যাভ্যাসসংক্রান্ত রেকর্ড করা হয়। তা খতিয়ে দেখেন গবেষকরা।
গবেষণা শেষে দেখা যায়, যারা নিয়মিত কাঁচা মরিচ খাচ্ছেন, তাদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৬ শতাংশ এবং ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমেছে ২৩ শতাংশ। এছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ, যা কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস না থাকা মানুষদের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
আমেরিকার ওহায়োর ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক হার্টের কার্ডিওলজিস্ট বো জু বলেছেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস সব ধরনের রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা কমায়। বিশেষ করে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এবং ক্যান্সারে।
কাঁচা মরিচের গুণাগুণ :
কাঁচা মরিচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ক্যানসার প্রতিরোধক। এছাড়া রয়েছে প্রচুর ডায়াটারি ফাইবার, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, ফলেট, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস। আরো রয়েছে বেশ কয়েকটি পুষ্টিকর উপাদান। যেমন ভিটামিন এ, সি, কে, বি-৬,পটাশিয়াম, কপার ও ম্যাগনেশিয়াম। যার সব কটি উপাদানই আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
কীভাবে খাবেন :
বেশি তাপমাত্রায় কাঁচা মরিচ রান্না করে খেতে নিষেধ করেছেন গবেষকরা। তাদের মতে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ৩৭০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলে কাঁচা মরিচে থাকা ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর প্রকৃত উপকার পেতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা খাওয়ার অভ্যাস করাই ভালো।
Leave a Reply