———————————————————————
মতামত
———————————————————————
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
১) বাংলাদেশের কোন মহামান্য এভাবে রাষ্ট্রনীতির অমান্য করেননি। এটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চেয়ার।এ চেয়ারে বসে দুনিয়ার কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, বিষোদগার তথা অতোবড় বড়াই করার দরকার কি! মহামান্য রাষ্ট্রপতি ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের এক আলোচনায় বলেছেন, মার্কিনিদের মানবাধিকার শেখাবে বাংলাদেশ !
বাস্তবতায় আমরা মনে করি, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার অমানবিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে না পেরে রোহিঙ্গাদের বোঝা বইবার যন্ত্রণা প্রকৃত ও খাঁটি মানবাধিকার হয় ? তাছাড়া, যে মানবাধিকারের দাম্ভিকতায় জাতিসংঘের একান্ত সহযোগিতা ছাড়া কোন রক্ষাই পায়না !
২) জাতীয় পার্টি ( জি এম কাদের )’র মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু প্রায়দিনই বলে আসছেন, সরকারের আশ্বাসে তারা নির্বাচনে এসেছেন। অথচ কথা ছিল একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে আর বিশ্বাসে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে যাবেন ! সুতরাং, নির্বাচনটা যে পুরোপুরি একটি সরকারী কায়দায় সেটা বুঝতে জাপারও অক্ষমতা নেই। অতএব কারণে, আমরা একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চাই।
৩ ) আসন ভাগাভাগি নিয়ে চাতকের ন্যায় ক্ষমতাসীনদের পথ চেয়ে প্রহর গুণছেন শরীক নামের কঙ্কালগুলো। কেননা, প্রত্যক্ষ দল ও ব্যক্তি ইমেজের নির্বাচনে তাদের অনেকেরই জামানত ছিলনা। থাকেনা। থাকবেওনা। শুধু তাই নয়, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির ভাষায়, এক শরীক তো মাননীয়কে এভাবেই অনুনয় করেছেন যে, আমার চেয়ে তারেক জিয়াকে কে বেশি গালি দিয়েছে ? এর প্রতিদান কি পাবোনা ? আর জাপার দায়িত্বশীলরা আসন ভাগাভাগির প্রত্যাশা পূরণের দেরি দেখে কিছু সময় রাগে, দু:খে ও ক্ষোভে বলে রাখেন, নির্বাচন বর্জনও করতে পারি। অথচ আমরা চেয়েছিলাম, একটি স্বকীয় চিন্তা চেতনার নির্ভেজাল রাজনীতি আর ভোটনীতি। যেমনটা হয়েছিল ১৯৯১ সালের গণতন্ত্রে।
৪) একটি জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের শুরু থেকে চলন্ত রেখায় যখন কোন বিরোধী পক্ষকে শুধুমাত্র বিরোধী রাজনীতি করার দায়ে একতরফা অভিযোগে তড়িগড়ি সাজা দেয়া হয়, তখন সহজেই বুঝা যায় প্রত্যাশিত গণতন্ত্র এখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে নেই।
আকাশ মো. জসিম। সম্পাদক ও প্রকাশক।
Leave a Reply