সেনাকুঞ্জে কেঁদেছিলেন মির্জা ফখরুল

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
  • 47 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ২১ নভেম্বর, ২০২৪

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে তারা গর্বিত বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা জানান তিনি।

——————————————————————–

ড. ইউনূস বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

——————————————————————–

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান খালেদা জিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

আগেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌঁছান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়াকে অনুষ্ঠানে দেখে তিনি কেঁদে ফেলেন।

২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের দীর্ঘ ৪০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে টেনে হিঁচড়ে জবরদস্তি করে বের করে দেয়া হয়েছিল। আজ সেই সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে যান তিনি।

এদিকে, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম বিএনপি চেয়ারপারসন প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেন। এর আগে তিনি ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সবশেষ সিলেট সফর করেন। এছাড়া ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান আমন্ত্রণপত্রটি বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেন।

খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র ২৬ জন নেতাও সশ্বস্ত্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!