দিশারী ডেস্ক। ২৮ জানুয়ারি,২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।
নোয়াখালী পৌরসভার দত্তের হাট। একটি জনবহুল পরিচিত ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হয়। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড। দত্তের হাট নোয়াখালী পৌরসভার সবচেয়ে বড় বাজার। রয়েছে সুপ্রাচীন ঐতিহ্যও।
এখানে সরকারের খাদ্য গুদাম, একাধিক ব্যাংক-বীমা, হাসপাতাল, বেকারী, হোটেল, মসজিদ, মাদরাসা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সরকারের ও সমাজের বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন পর্যায়ের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অথচ এ এলাকায় কোন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। যে কারণে এখানকার বসবাসরত নাগরিকেরা নিজেদের ছেলেমেয়ের উচ্চ শিক্ষা লাভের অধিকারবঞ্চিতসহ সামাজিকভাবে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সম্প্রতি এসব বিষয়ে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, আবেগ ও ভাবাবেগসমতে স্থানীয় গণ্যমান্য ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ একটি জরুরী ও প্রয়োজনীয় সভায় মিলিত হয়েছেন। তাঁরা এমন মহতি উদ্যোগ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে আলোচনাক্রমে একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেন।
তাঁরা প্রাথমিকভাবে বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ হতে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত শ্রেণী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ দত্তের হাট বাজারে দীর্ঘ তিন যুগের অধিকালকাল ধরে পরিত্যক্ত, অব্যবহৃত ও মাদকাসক্তদের আড্ডাস্থল হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের গণশিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির সংস্কার করে দত্তের হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়’র শ্রেণী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে ও বরাদ্ধকরণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ও বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে যথাযথ কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে ওই এলাকার সমাজসচেতন নাগরিক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দত্তের হাট পুরো নোয়াখালীর একটি এতিহ্যবাহী ব্যবসা কেন্দ্র। যুগ-যুগ ধরে এ এলাকায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ সম্প্রীতি বজায় রেখে চলছে। তিনি বলেন, পরম পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য যে, এ এলাকায় একটি অতিব প্রয়োজনীয় উচ্চ বিদ্যালয় নেই। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেও আমরা বাস্তবতায় কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এ সমাজটি একটি উচ্চ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে চলছে। সে কারণে আমি মনে করি, দল-মত নির্বিশেষে এ এলাকায় আমাদের সকলের ঐক্যান্তিÍক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গঠনে এগিয়ে আসা খুবই জরুরী।
আলহাজ্ব মফিজ উল্যাহ মিয়া বলেন, স্থানীয় নাগরিকদের মৌলিক শিক্ষা লাভের অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নে সরকার আমাদের এমন একটি মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানাবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
স্থানীয় মেজবাহ উদ্দিন লিটন বলেন, নোয়াখালী পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক উচ্চ শিক্সঅ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য যে একমাত্র এ এলাকায় কোন একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।
সে নিরিখে নোয়াখালী পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের দত্তের হাটস্থ পরিত্যক্ত ঘরটি “ দত্তের হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়’র শ্রেণী শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহারের নিমিত্তে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সুহৃদ সহযোগিতায় এগিয়ে থাকবেন বলে এলাকাবাসীর কামনাও।
এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষও রাজনৈতিকমহলও। তারা বিশ্বাস করেন, দত্তের হাটের সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ এলাকায় একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হলে এলাকাটি সমাজিকভাবে আরো উন্নত মর্যাদা লাভ করবে।
Leave a Reply