নিজস্ব প্রতিনিধি
—————-
১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর লক্ষীনারায়ণপুরের মো. দুলাল (৪৫) কে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত। গত বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপরোক্ত রায় ঘোষনা করেন বিজ্ঞ বিচারক মো. জাহিদুল ইসলাম।
মামলার বাদী আখাউড়ার আনিছের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ বার বছর লন্ডন থাকার পর গত ২০১৬ সালে দেশে আসেন। ২০১৭ সালে লন্ডনে থাকাবস্থায় দুলালের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তার সাথে আনিছের পরিচিয় হয়। সে সুবাদে দুলাল ও আনিছ একে অপরের বাড়িতে আসা যাওয়া করে ও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়।
আনিছ জানান, তিনি লন্ডন হতে দেশে একেবারে চলে এসেছেন। সে সুবাধে দুলাল আনিছকে তার সাথে যৌথভাবে দেশেই ব্যবসা বানিজ্যের প্রস্তাব দেন।
আনিছের এমন সরলতার সুযোগে দুলাল আনিছকে নোয়াখালীতে একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার প্রস্তাব দেন। আর এতে আনিছও দুলালের প্রস্তাবে রাজি হয়। এরপর আনিছ ব্যবসায়িক পুঁজি হিসেবে দুলালের কথামতো তাকে প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ টাকা দিয়ে থাকেন।
এ সময় দুলাল আগামি এক মাসের মধ্যে দু’জনের নামে যৌথভাবে কাগজপত্র করবেন বলে জানান। আনিছ পরবর্তীতে এক মাস পরে কাগজের কথা জানতে চাইলে দুলাল আরও এক মাসের সময় নেয়। এভাবে ৬/৭ মাস পর একদিন বলে আপনি আমাকে বারবার বিরক্ত করবেননা। আমি কোন ব্যবসা বাণিজ্যে জড়াতে চাইনা।
এ সময় আনিছ তার দেয়া টাকাগুলো ফেরত চাইলে দুলাল নানা তালবাহনায় লিপ্ত হন। এরপর বারবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে আনিছ দুলালের নোয়াখালীর বাড়িতে গেলে দুলাল টাকার কথা অস্বীকার করে আনিছ ও সঙ্গীয়দের তার বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
একপর্যায়ে, আনিছ হতাশ ও বিমর্ষ হয়ে বাড়িতে এসে নিরুপায় হয়ে গত ২৮ নভেম্বর ২০১৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আনিছ জানান, ২০২০ সালের প্রথমদিকে যেদিন দুলাল কোর্টে হাজির হয়ে জামিন নেয়াকালে ওই টাকাগুলো ফিরিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দিলেও জামিন পাওয়ার পর আবারো তালবাহনা করতে থাকেন। এভাবে গত দু’বছর ধরে আনিছ অনেকবার তার সাথে যোগোযোগর চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হয়।
এ রায়ের ব্যপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট শাহনুর ইসলাম ও এ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম অপু বলেন বিজ্ঞ আদালত সমস্ত প্রমাণাদি ও সাক্ষী গ্রহনের পর ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এ রায়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
Leave a Reply