’১৪ বা ’১৮ সালের মতো আরেকটা নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করিনা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
  • 239 পাঠক

———————————————————————–

মতামত

————————————————————————

১৩ অক্টোবর ২০২৩, শুক্রবার।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন হবে না বলে মনে করিনা আমরা। আমাদেরকে কোনো না কোনোভাবে প্রকৃত একটি নির্বাচনের কাছাকাছি যেতে হবে। যদিও এখনো বড় ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। দুইটি বড় দল দুই অবস্থানে অনড় রয়েছে। এমন অবস্থায় সামনে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে তলে তলে, মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেয়া এসব কথা ক্ষমতার দম্ভ থেকেই আসে বলে আমরা মনে করি। কোনো ধরনের জবাবদিহিতা না থাকলে এই ধরনের কথা বলা যায়। এমন কথা বলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিষয়টি এমন- আমি যেকোনো কথা বলতে পারি অসুবিধা নেই এবং বিচার বিবেচনা, দায়িত্ববোধ, সৌজন্যবোধ- এসবের কোনো বালাই নেই।

বিশেষ করে ক্ষমতার বাইরে থেকে একজন ব্যক্তি এ ধরনের কথা বলে পার পেতে পারে না। ক্ষমতার মধ্যে থাকলে তাদের একটি ধারণা তৈরি হয় যে, তিনি যা খুশি তাই বলতে পারে এবং করতে পারেন। ক্ষমতার দম্ভ থেকেই এগুলো হয়।

তলে তলে, মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেয়া এসব শব্দ চয়নের সঙ্গে একজন রাজনীতিকের সম্পর্ক থাকতে পারে না। ক্ষমতার একটি রোগ আছে। সেই রোগ থেকে এগুলো হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা, জবাবদিহিহীনতা থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে রুচিরও অধঃপতন হয়। দায়িত্ববোধেরও অধঃপতন হয়। আইন, বিচার ব্যবস্থা, জবাবদিহি না থাকলে এ ধরনের কথা বলার রোগে ধরে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তো আর সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমাদের জনগণ কতোটা নির্বাচনের জন্য সরব হতে পারে সেটার ওপর একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নির্ভর করে।

যে কোন পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাধীন নির্বাচন হওয়া উচিত। এখানে সরকারের ভূমিকাই প্রধান। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনে কতোটুকু রাজি হবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। দেখে মনে হচ্ছে এটি সরকারের জীবন-মরণ সমস্যা। ক্ষমতা ছেড়ে দিলে তার অনেক ধরনের ঝুঁকি আছে।

আওয়ামী সরকারের প্রতি জনসমর্থন রয়েছে বিষয়টি যদি এমন হয় তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সমস্যা কোথায় ? মনে হয় না আগামী নির্বাচন ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো হবে। কোনো না কোনোভাবে নির্বাচনের কাছে যেতে হবে। এখন সেটা কীভাবে, কোন মাত্রায় যাবে, তাদের কৌশল পরিকল্পনা কি- এসবের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। এখানে গণতন্ত্রকামী অন্যান্য দেশের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু মিলে এখনো আমরা যথেষ্ট অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!