দিশারী ডেস্ক। ২৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
ভিক্ষুক নিয়ন্ত্রণে রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারের উদ্যোগে চলছে বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রকল্প। রাজধানীতে বেশ কিছু এলাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । আবার ভিক্ষুক ধরে তাদের নির্দিষ্ট পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে জীবনমানের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষক দেয়া হচ্ছে, নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলে সরকারি সূত্র থেকে জানা যায়।
এদিকে দেশে ভিক্ষুক সংখ্যা এখন কত আছে তার কোনো সঠিক হিসেব নেই। যে যার মতো এই সংখ্যা ব্যবহার করে থাকে ক্ষেত্রবিশেষে। যদিও সরকারি তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ২০২১ সালে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত তৎকালীন সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দেয়া তথ্য। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল মোট জনগোষ্ঠীর দশমিক ১৭ শতাংশ বা প্রায় আড়াই লাখ। তবে ভিক্ষুকদের নিয়ে কাজ করা অন্য সূত্রগুলোর দাবি বাস্তবে এখন ভিক্ষুকের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
গুলশান ২ নম্বর চত্বরের মোড়ে যে কারোরই চোখে পড়বে ‘ ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা ’ সাইনবোর্ডটি। আবার ঠিক সেখানেই সিগন্যালে গাড়ি থামলেই হাত বাড়িয়ে দেন একের পর এক ভিক্ষুক। একই দৃশ্য দেখা যায় গুলশান ১ নম্বরেও। এ ছাড়া রাজধানীর বিজয় সরণি, ফার্মগেট, বাংলামোটর, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, শ্যামলী, আগারগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, সোনারগাঁও মোড়, শাহবাগসহ এমন কোথাও নেই যেখানে ভিক্ষুকের দেখা না মেলে!
রাজধানীর বিজয় সরণি সিগন্যালে ভিক্ষা করেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা আছিয়া খাতুন। অল্প বয়সে স্বামী মারা যান। সহায়-সম্পত্তি কিছুই নেই। তিন ছেলে ছিল, কে কোথায় আছে জানা নেই তার। দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন, তাদের কেউ খোঁজ রাখেন না তার। বৃদ্ধ শরীরে কাজ করার শক্তি নেই। তাই ভিক্ষা করে দিন চালান আছিয়া খাতুন। এই সিগন্যালের অন্য ভিক্ষুকদের সঙ্গেও তার ভাব তৈরি হয়েছে। প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের বিভিন্ন মানবিক ঘটনা শুনিয়ে সাহায্য চান তারা।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভিক্ষুক, চা-শ্রমিক ও হিজড়া) মো. শাহজাহান জানান, ভিক্ষুকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের পুনর্বাসনের জন্য এসব প্রকল্পে যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। শহরে ভিক্ষুকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে একটা বড় কারণ হলো জনসংখ্যার বৃদ্ধি। জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে আসে।
আরও বড় কারণ, ভিক্ষাবৃত্তিতে পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। শুধু হাত পাততে পারলেই হলো। তাই দিন দিন মানুষ এই পেশায় বেশি জড়িয়ে পড়ছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করার জন্য বাজেট আরও বাড়ানো দরকার।
সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সরকার। এই উদ্দেশ্যে অন্তর্ভুক্তিমুলক উন্নয়নের অংশ হিসেবে এবং একই সঙ্গে দারিদ্র্য নিরসন ও ভিক্ষাবৃত্তি পেশা থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয় নানাবিধ প্রকল্প।ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূল করার জন্য সরকার ‘ ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা-২০১৮ ’ প্রণয়ন করেছে। বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি করেছে। এ ছাড়া পৌরসভা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি, সিটি করপোরেশন অঞ্চলভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি, বিভাগীয় ও জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটিও রয়েছে।
ভিক্ষাবৃত্তি রোধের জন্য প্রাথমিকভাবে সিটি করপোরেশনের কিছু এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা হয়েছিল। এলাকাগুলো হচ্ছে বিমানবন্দরে প্রবেশপথের পূর্ব পাশের চৌরাস্তা, বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ি ও এর আশপাশের এলাকা, হোটেল রেডিসনসংলগ্ন এলাকা, ভিআইপি রোড, বেইলি রোড, হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালসংলগ্ন এলাকা, রবীন্দ্র সরণি এবং কূটনৈতিক এলাকাসমূহ। এসব এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আটক ভিক্ষুকদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার নিমিত্তে গ্রহণ করা হয় বিভিন্ন পুনর্বাসনকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প। এর পেছনে বাজেটের বড় একটি অংশ বরাদ্দ দেয়া হয়। এ এলাকাগুলো ভিক্ষুকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নিয়মিত মাইকিং, বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও পুরোপুরি সফল হওয়া যায়নি। বিশেষ করে বিমানবন্দর এলাকা আর সোনারগাঁও হোটেলের আশপাশেই খুঁজে পাওয়া যাবে ডজনখানেক নিয়মিত ভিক্ষুক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ভিক্ষুকদের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে একটি কারণ হলো জনসংখ্যার বৃদ্ধি। এর ফলে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ কাজ খুঁজে না পেয়ে এই পেশায় জড়াচ্ছে। তবে আরও একটি বড় কারণ হলো ভিক্ষা বাণিজ্য। এই বাণিজ্যে একটি সক্রিয় চক্র জড়িত আছে। মানুষের আবেগের সুযোগ নিয়ে ভিক্ষুকদের কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। এই চক্র বিশেষ করে পথশিশুদের টার্গেট করে তাদের বিভিন্ন উপায়ে শাররিকভাবে বিকলাঙ্গ করে। তারপর এই শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রাস্তার বিভিন্ন সিগন্যালে ভিক্ষা করতে পাঠায়। এসব শিশুকে নিয়মিত মনিটরিং করে এই চক্র। রাজধানীর মিরপুর এবং কামরাঙ্গীরচরে এই চক্র বেশি সক্রিয়।
তিনি আরও জানান, এই সিন্ডিকেট মানুষের মানবিকতার সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এই সিন্ডিকেট প্রতিদিন ভিক্ষুকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরমাণ চাঁদা আদায় করে। এমনকি ভিক্ষুকদের ১৫ থেকে ২০ দিন পরপর বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং করা হয়। এর কারণ, একই জায়গায় ভিক্ষা করলে ওই এলাকা থেকে বেশি দিন সহমর্মিতা পাওয়া যায় না।
এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. তৌহিদুল হক জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে শারীরিকভাবে অক্ষম যেসব মানুষ রয়েছে, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং পুঁজি দিয়ে উপার্জন করার মতো কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। আর যেসব কর্মক্ষম মানুষ ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত, তাদের জন্য আইনের প্রয়োগ করতে হবে। তাদের আইনের সহায়তায় আটক করা শুরু করলে মানুষের মধ্যে একধরনের আইনের ভয় কাজ করবে। আর এসব সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
সরকারি তথ্যানুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৭টি জেলায় অর্থ পাঠানোর পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটক ভিক্ষুকদের আশ্রয়ের জন্য ১৬টি ডরমিটরি নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ ছিল। একই বছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ২ হাজার ৬০০ জন ভিক্ষুককে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৮০৫ জনকে ভিক্ষাবৃত্তি না করার শর্তে মুক্তি দেয়া হয়। বাকি ৭৯৫ জনকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকাসমূহে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ২ হাজার ৯০০ জন ভিক্ষুককে আটক করা হয়।
আটকদের রাখার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় ৭৫০ জনকে ভিক্ষাবৃত্তি না করার শর্তে মুক্তি দেয়া হয়। অবশিষ্ট ২ হাজার ১৫০ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের নিমিত্ত আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এ ছাড়া দেশের ৫টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরে ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে টিনশেড ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলায় ৬টি, গাজীপুরের কাশিমপুর ও পুবাইলে ৪টি করে ৮টি, নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল এবং ঢাকার মিরপুরে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে একটি করে ডরমিটরি নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও রাস্তা এবং কিছু কাজ এখনো বাকি আছে।
২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে এর স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ভিক্ষুকদের ধরে এনে সাময়িক ব্যবস্থাপনায় সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রাখা হবে। স্থান সংকুলান না হলে আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরে ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে টিনশেডের ডরমিটরি নির্মাণ করা হবে। পরে তাদের নিজ গ্রামে ফেরত পাঠানো হবে এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তাদের বাসস্থান করে দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে তাদের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ঋণ দেয়া হবে।
কিন্তু তবুও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ভিক্ষুকদের সংখ্যা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ কোটি টাকায় ৬৩ জেলায় ৩ হাজার ৩ জনকে এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ কোটি টাকায় ৩ হাজার জনকে পুনর্বাসন করা হয়। অর্থাৎ পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরুর পর ১৪ বছরে এই সেক্টরে প্রায় ৮৭ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। এর মধ্যে ৫৪ কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে পুনর্বাসনের সুবিধা পেয়েছে ১৭ হাজার ৭১০ জন। কিন্তু পুনর্বাসন করা হলেও কয়েক বছর না যেতেই বেশির ভাগ সুবিধাভোগী আগের পেশায় ফিরে আসে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জরিপ পরিচালনা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় করা হয় ১৮ লাখ টাকা।
২০১১-১২ অর্থবছরে ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও খরচ হয় ৪৮ লাখ টাকা। এই টাকায় ময়মনসিংহে ৩৭ জন ও জামালপুরে ২৯ জনকে পুনর্বাসন করা হয়।
২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বরাদ্দ করা হয় ১০০ কোটি করে টাকা। এর মধ্যে ২০১২-১৩ অর্থবছরে এই টাকা আনুষঙ্গিক খাতে খরচ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে কোনো অর্থ ছাড় করা হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দে খরচ হয় ৭.০৯ লাখ টাকা।
এ টাকা ঢাকা শহরের রাস্তায় বসবাসকারী শীতার্ত ব্যক্তিদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া ও আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দ থেকে ৪৯ লাখ ৯৭ হাজারে ২৫১ জনকে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দ থেকে ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকায় ৯ জেলায় ৪১০ জনকে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩ কোটি টাকায় ৫৮ জেলায় ২ হাজার ৭১০ জন, ২০১৮-১৯ সালে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮ জেলায় ২ হাজার ৭১০ জন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকায় ৪১ জেলায় ২ হাজার ৭১০ জন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ কোটি টাকায় বিভিন্ন জেলায় ২ হাজার ৮৫০ জন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ থেকে ২৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচে ৩৭টি জেলায় ৩০০০ জনের পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানে খরচ করা হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, ভিক্ষুক পুনর্বাসনে তাদের মোবাইল কোর্ট সক্রিয় রয়েছে। ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে উপার্জনের সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়। তবে দুঃখের বিষয়, তারা সেখান থেকে ছাড়া পেলে আবার পুরোনো পেশায় ফিরে যায় ।
Leave a Reply