দিশারী ডেস্ক। ২৩ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
দেশে ১২ প্রজাতির সামুদ্রিক সাপসহ প্রায় ৮০ প্রজাতির সাপ দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে ছয় ধরনের সাপ বিষধর। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় তিন লাখের মতো মানুষ বিষাক্ত সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় এবং তাদের ১০ শতাংশ মারা যায়। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সর্পদংশন প্রায়ই ঘটে। চলতি মৌসুমে গ্রামাঞ্চলে সাপের আতঙ্ক বেড়েছে। এ বিষয়ে ভয় থাকলেও ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।
সাপে কাটলে করণীয় কী :
দংশিত অঙ্গ নড়াচড়া করা যাবে না। পায়ে দংশনে- বসে যেতে হবে, হাঁটা যাবে না।
হাতে দংশনে-হাত নড়াচড়া করা যাবে না। হাত পায়ের গিরা নাড়াচাড়ায় মাংসপেশির সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে বিষক্রিয়া করতে পারে।
আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবে।
ঘড়ি বা অলঙ্কার বা তাবিজ, তাগা ইত্যাদি থাকলে খুলে ফেলুন।
দংশিত স্থানে কাটবেন না, সুঁই ফোটাবেন না, কিংবা কোনো ধরনের প্রলেপ লাগাবেন না বা অন্য কিছু প্রয়োগ করা উচিত নয়।
সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যান।আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
এদিকে রাসেলস ভাইপারের প্রাদুর্ভাব কমাতে যা করবেন :
বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল, তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এবং কিছু প্রজাতির সাপ রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এসব বন্যপ্রাণীকে মানুষের নির্বিচারে হত্যার কারণে প্রকৃতিতে রাসেলস ভাইপার বেড়ে যাচ্ছে। তাই বন্যপ্রাণী দেখলেই অকারণে তা হত্যা, এদের আবাসস্থল ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকুন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম আছে এবং সব জায়গায় হাসপাতালগুলোয় অ্যান্টিভেনম রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply