নিজস্ব প্রতিনিধি
————
গণপূর্ত বিভাগের এক প্রকৌশলীকে পছন্দের চেয়ারে বসাতে ১০ কোটি টাকার চুক্তি করেন এক তদবিরবাজ। পছন্দের চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে তিন কোটি টাকা বুঝেও নেন। বাকি টাকা না দেয়ায় সৃষ্টি হয় জটিলতা। তদবিরবাজ অফিস কক্ষে ঢুকে প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করলে চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ খবর পৌঁছে যায় সরকারের একটি গোয়েন্দা দপ্তরে। শেষ পর্যন্ত লোভনীয় পদে থাকতে পারেননি ওই প্রকৌশলী।
সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ঘনিষ্ঠজন-এমন দাবি দেলোয়ার হোসেন ও দবির উদ্দিনের। আর এই সম্পর্ককে পুঁজি করে ঢাকার বসিলার এক ভূমি ব্যবসায়ীর সঙ্গে তদবির সংক্রান্ত একটি লিখিত চুক্তি করেন তারা। দুজনেরই বাড়ি মাদারীপুর। তিনশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে করা ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যাশিত কাজের বিনিময়ে দেলোয়ার ও দবিরকে বসিলা মৌজায় ১০ কাঠা জায়গা দেয়ার কথা।
পাশাপাশি কাজ শেষ করতে বিআইডব্লিউটিএসহ অন্যান্য অফিস খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকা ধাপে ধাপে দেয়ার শর্তও ছিল চুক্তিপত্রে। কাজটি ছিল ওই ব্যবসায়ীর জমিতে বিআইডব্লিউটিএ’র পোঁতা ৫টি সীমানা পিলার অপসারণ ও ১১টি পিলার সরিয়ে আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন।
উল্লিখিত ঘটনা দুটি দেশের তদবিরবাজদের ভয়াবহ দৌরাত্ম্যের চিত্র স্পষ্ট করে তোলে। শুধু তাই নয়, এর মধ্য দিয়ে এই অবৈধ কর্মকাণ্ডকে এক রকম বাণিজ্যে রূপ দেয়ার বিষয়টিও ওঠে এসেছে। এমনকি তদবির বাণিজ্যের জন্য রীতিমতো অনেকেই ছোট ছোট সিন্ডিকেট বানিয়ে ‘অফিস বা চেম্বার’ খুলে বসেছেন।
তদবিরবাজি এখন পরিণত হয়েছে বিনা পুঁজির সবচেয়ে লাভজনক বাণিজ্যে। এর জন্য শুধু দরকার রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, এমপি এবং আমলাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক। আবার কোনো কোনো সময় এসব প্রভাবশালী বিভিন্ন কাজের জন্য নিজেরাই সরাসরি তদবির করে থাকেন। এসব তদবির ঠেকাতে বিভিন্ন সময় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সেটি এখনো অব্যাহত। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও তদবিরবাজ সিন্ডিকেটের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য মিলেছে।
তদবিরবাজদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে সেটি ফৌজদারি অপরাধের শামিল। তাকে চিহ্নিত করে অবশ্যই ফৌজদারি আদালতে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সীমাহীন তদবিরে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি পদোন্নতিতে তদবিরের পথ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত কঠোর অনুশাসন সংবলিত বিশদ নীতিমালার খসড়া ইতোমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বদলি, পদায়ন ও চাকরির সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে রাজনৈতিক তদবিরে অতিষ্ঠ হয়ে খাদ্য অধিদপ্তর একটি সার্কুলার জারি করেছিল। ওই সার্কুলারে বলা হয়, ‘লক্ষ করা যাচ্ছে খাদ্য অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ, মাননীয় সংসদ সদস্য/বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে সুপারিশপত্র দাখিল করা হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯-এর বিধি-২০-এ উল্লেখ রয়েছে যে, ‘সরকারি কর্মচারী তার পক্ষে হস্তক্ষেপ করার জন্য কোনো অনুরোধ বা প্রস্তাব নিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো সংসদ সদস্য বা অন্য কোনো বেসরকারি ব্যক্তির দ্বারস্থ হতে পারবেন না।’ বিধি-৩০-এ বলা আছে, ‘সরকারি কর্মচারী তার চাকরি সংক্রান্ত কোনো দাবির সমর্থনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকার বা সরকারি কর্মচারীর ওপর কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো বহিঃপ্রভাব খাটাতে পারবেন না।’ ৩০-এর সিতে বলা হয়েছে, ‘সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।’ এসব বিধান লঙ্ঘন করা হলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ বলে গণ্য হবে। এজন্য শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিবেচিত হবেন।’ ওই আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ভবিষ্যতে এর ব্যত্যয় হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকায় শতাধিক তদবিরবাজ সিন্ডিকেটে জড়িত আছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সহস াধিক মানুষ। তাদের প্রায় সবাই রাতারাতি বিত্তশালী বনে গেছেন। অভিজাত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা তদবিরবাজ চক্রের সদস্যরা নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেওয়া, জায়গা-জমি দখল, দখলমুক্ত করা, পাওনা টাকা আদায় করে দেয়াসহ নানা ধরনের কাজ করে দেয় নির্ধারিত টাকার চুক্তিতে। নির্দিষ্ট কাজের জন্য কমিশন বা দরদাম ঠিক করেই প্রাথমিকভাবে কাজ শুরুর জন্য ৫০ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর নানা ধাপের ভিন্ন ভিন্ন তৎপরতা দেখিয়ে দফায় দফায় নেওয়া হয় চুক্তির টাকা। শেষ পর্যন্ত তদবির সফল হোক কিংবা ব্যর্থ তাতে তদবিরবাজের কোনো লোকসান নেই।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাতের যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি বের হয়ে আসছে তার নেপথ্যে রয়েছে তদবির বাণিজ্য। নানা মহলের তদবিরের কারণে লাইসেন্সবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গেও করোনা পরীক্ষার চুক্তি করেছিল সরকার। ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয়ে দাপট দেখিয়ে তদবিরের মাধ্যমে নানা কাজ হাসিল করে নিতেন রিজেন্ট সাহেদ। শেষ পর্যন্ত তিনি গ্রেফতার হয়েছেন।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী। সাবরিনা নিজে সরকারি চাকরিতে থেকেও একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। চিকিৎসক নেতাদের সহায়তায় শুধু তদবিরের বলেই নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ বাগিয়ে নিয়েছিলেন সাবরিনা।
প্রশাসনের তৃণমূল থেকে দেশের প্রশাসনিক যন্ত্রের মূল কেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয় পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে রাজনৈতিক তদবির শুরু হয়েছে বহু বছর আগে থেকে। গত বছরের ৫ মে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একজন জুনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক তদবিবের বিষয় অবহিত করে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সচিবালয় ও আশপাশের এলাকা সরেজমিন দেখা গেছে, তদবিরবাজদের সবচেয়ে রমরমা ভিড় থাকে সচিবালয়ের দক্ষিণ পাশে ওসমানী উদ্যানের গাছতলায়। সচিবালয়ের দরজা খোলার পর থেকে দরজা বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ওখানেই চলে দেনদরবার। এছাড়া সচিবালয় সংলগ্ন শিক্ষাভবনে তদবিরবাজদের ভিড় যেন নিত্যদিনের চিত্র। হাতবদল হয় কাগজপত্র ও টাকার খাম। চাকরির তদবির থেকে শুরু করে বদলি, দরপত্র, বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য পাইয়ে দেওয়া, টিআর, কাবিখা, জিআর, বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার, খাস জমি বন্দোবস্ত, নবায়ন, বকেয়া বিল পরিশোধসহ সবকিছুতেই তদবিরবাজদের দৌরাত্ম্য। এসব কাজের তদবির নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন ঢাকায় আসেন। তদবিবের চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পরই সচিবালয়, প্রশাসনিক দপ্তর, অধিদপ্তর ও মন্ত্রী-এমপিদের বাসা বাড়িতে ছুটেন তদবিরবাজ সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
২০১৯ সাল থেকে তদবির বাণিজ্য ও এ সংক্রান্ত দুর্নীতি বন্ধে ভূমি মন্ত্রণালয় লটারির মাধ্যমে পদায়ন ও বদলির সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদবিরবাজি ও নানা অনৈতিক কাজ ঠেকাতে ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়। আদেশে অফিস সময়ের পর দপ্তরগুলোতে উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা শাখা-২ থেকে জারি করা ওই আদেশে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া অফিস সময়ের পর সচিবালয়ে কেউই অবস্থান করতে পারবে না। একই সঙ্গে অফিস চলাকালীন দর্শনার্থীদের পাশ ইস্যুতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। আর করোনাকালীন তো সাধারণ দর্শনার্থীদের পাশ ইস্যু বন্ধ করেই দেওয়া হয়েছে। এরপরও তদবিরবাজদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না।
তদবির বাণিজ্য শুধু সচিবালয়ই নয়, এর পরিধি ছড়িয়ে পড়েছে প্রশাসনিক দপ্তর-অধিদপ্তর থেকে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর পর্যন্ত। সচিবালয়ে প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে বলে অনেকে তদবিরের বিকল্প জায়গা হিসেবে এটিকে বেছে নেন।
যেভাবে বাণিজ্য : তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে বিত্তশালী বনে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন অনেক মন্ত্রী, এমপি ও আমলাদের আত্মীয়-স্বজন। এছাড়া আছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী এবং সুন্দরী তরুণীদের ছোট ছোট সিন্ডিকেট। কোনো কোনো তদবির সিন্ডিকেটের সম্বল পোশাক-পরিচ্ছদ ও বাচনভঙ্গি। চকচকে পোশাকের ওপর একটি মুজিব কোট জড়াতে পারলেই বেড়ে যায় তাদের ‘পাওয়ার’।
সরকারি দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনে পদ-পদবি থাকুক আর না থাকুক তাতে কোনো সমস্যা নেই। কখনো একা আবার কখনো দল বেঁধে সরকারি দপ্তর-অধিদপ্তর, মিল-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাজির হয়েই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, প্রধানমন্ত্রীর অযাচিত প্রশংসা আর দলের জন্য নিজের কল্পিত ত্যাগের বুলি আওড়িয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় তারা। তাদের মোবাইলে থাকে দলের বড় নেতা, মন্ত্রী, আমলাদের সঙ্গে তোলা ছবি। সেসব ছবি দেখিয়ে নিজেদের জাহির করার ফাঁকেই খুলে বসেন তদবিরের খাতা। তদবিরই তাদের আসল ধান্দা।
তদবিরবাজির অফিস : তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, অনেক ক্ষেত্রেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে তদবিরবাজি। অফিস-চেম্বার খুলে বসেছেন তারা। শুধু রাজধানীতেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, থানা, বিদ্যুৎ-গ্যাস, ওয়াসা, রাজউক, সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত, বিআইডব্লিউটিএ, কোর্ট-কাছারি ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তরগুলোতে দাপিয়ে বেড়ান তদবিরবাজ চক্রের সদস্যরা। টাকা হলে সব ধরনের কাজ করে দেওয়ার দায়িত্ব নেন তারা। শিক্ষাভবনে বদলি ও পদোন্নতি বাণিজ্যের কলকাঠি পরিচালিত হয় কলাবাগানের একটি অফিস থেকে। প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর ভাই এই অফিস পরিচালনা করেন বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর অফিসটিতে শিক্ষাভবনের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের ভিড় লাগে। তারা সেখানে শিক্ষাভবনের নানা কাজের ‘কমিশনের’ হিসাব বুঝিয়ে দেন।
সাবেক বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাও তদবির বাণিজ্যে জড়িত। প্রায় প্রতিদিনই তারা পরিপাটি পোশাকে প্রবেশ করেন সচিবালয়ে। তাদের দৌড়ঝাঁপ দিতে দেখা যায় এক মন্ত্রণালয় থেকে আরেক মন্ত্রণালয়ে। হাতিরপুল, কাটাবন ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় রয়েছে তাদের কয়েকজনের অফিস। কাওরান বাজার, নিকেতন, কাকরাইল, বনশ্রী এলাকায়ও বেশ কয়েকটি তদবিরবাজ সিন্ডিকেটের অফিস রয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের নানা বিষয়ক উপকমিটির বেশ কিছু নেতা ও যুব মহিলা লীগের বেশ কয়েক জন নেত্রী সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন অফিসে তদবিরবাজ হিসেবে পরিচিত। নির্দিষ্ট কোনো চাকরি বা ব্যবসা না থাকলেও শুধু তদবির বাণিজ্য করেই তারা বিত্তশালী।
Leave a Reply