হোমিও-হারবাল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতারিত এক যুবক বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলে রোগের সমাধান পাবার আশায় একটি হারবাল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আমার মতো অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন। এসব হারবাল প্রতিষ্ঠানে মূলত রোগীরা চিকিৎসা পায় না। তারা উল্টা-পাল্টা ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা দেয়, ফলে কোনো উপকার আমরা পাই না বরং পার্শ্বপ্রতিক্রায় হিতের বিপরীত হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এগুলোর অধিকাংশই ভুঁইফোড় এবং নামসর্বস্ব একেকটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো রাজধানীর বেশিরভাগই গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শনিরআখড়া, মালিবাগ, ফার্মগেট ও মিরপুরসহ সারা বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই দেখা যায়। এসব বাহারি নামধারী ভুয়া চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাবসার টার্গেট হলো মূলত সহজ সরল মানুষরা।
এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় কিছু নারীকর্মী থাকে যাদের কাজ হলো যানবাহনে লিফলেট বিতরণ করা। যাতে লেখা থাকে, চর্ম ও যৌন রোগ থেকে শুরু করে ক্যান্সারসহ সর্ব রোগের রোগের সমাধান। লিফলেটে এমন শব্দ বা বাক্য লেখা থাকে যা দেখে কোমলমতি বাচ্চারা, ছাত্র-ছাত্রী ও বিবেকবান মানুষরা লজ্জায় ও বিভ্রান্ত অবস্থায় পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হারবাল প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক বলেন, আমরা মূলত সিটি করপোরেশন, বিএসটিআই ও থানায় নিয়মিত চাঁদা দিয়ে শান্তিতে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে আসছি। আমরা এই চিকিৎসা সেবা রপ্ত করেছি আমার কবিরাজ গুরুর কাছ থেকে। তিনি নিয়েছেন তার গুরুর কাছ থেকে।
দেশে যত্রতত্র হারবাল চিকিৎসা ও তার বৈজ্ঞানিক গ্রহণ যোগ্যতার সম্পর্কে জানতে চাইলে এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানান, দেশে যত্রতত্র চলছে হারবাল চিকিৎসা সেবার মহাউৎসব। অনেকেরই হারবাল চিকিৎসার সনদ নেই।
প্রায় সব হারবাল ওষুধে এক ধরনের বিষ ব্যবহার করা হয়, আর তা যদি সঠিক পরিমাণে ব্যবহার না করা হয়। তার ফলে একজন সুস্থ মানুষের লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি সবাইকে আরও সচেতন হয়ে সঠিক হারবালের চিকিৎসা নিতে অনুরোধ করেন।
Leave a Reply