নোয়াখালী সদরের তথ্য বাতায়নে এ কি অবস্থা !

  • আপডেট সময় শনিবার, জুলাই ৩, ২০২১
  • 588 পাঠক

নিজস্ব প্রতিনিধি

—————-
নোয়াখালী সদর উপজেলার ভুলে ভরা সরকারী তথ্য বাতায়নে জনমনে চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। একটি সরকারী ওয়েবসাইটে থাকা সেসব অসঙ্গতির কারণে সঠিক তথ্য লাভে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে, সঠিক তথ্য প্রকাশে অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সরকারের তথ্য প্রকাশের মহতি উদ্যোগ।

ওয়েবসাইটে উপজেলার শিক্ষা সাইটের অবস্থা ও হ-য-ব-র-ল । মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসার তালিকার স্থলে জেলার অন্য উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন সরকারী কলেজ, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।

তবে, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংযুক্ত কলামে সদর উপজেলার প্রায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম যুক্ত হয়েছে।

এ ওয়েব সাইটে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নোয়াখালী পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন বলে প্রকাশিত রয়েছে। একইভাবে, এ উপজেলায় ১৩ ইউনিয়নের স্থলে ২০টি সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে ১২ নম্বর চরমটুয়া স্থলে ১৯ ও ১৩ নং আন্ডারচরের স্থলে ২০ নম্বর লিখা হয়েছে।

এছাড়া, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থলে মাত্র পৌরসভার ২০টি মসজিদ ও ৮টি মন্দিরের নাম অর্ন্তভুক্ত থাকলেও পুরো উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মসজিদ, মন্দিরের নাম স্থান পায়নি।

তাছাড়া, পত্র-পত্রিকার কলামে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী হতে প্রকাশিত জাতীয় নিশান, সচিত্র নোয়াখালী ও প্রয়াত আনোয়ার বিএসসির নোয়াখালীর খবরকে সদর উপজেলা থেকে প্রকাশিত হয় বলে দেখানো হয়েছে।

প্রয়াত নোয়াখালী বার্তার সম্পাদক আবদুল কাদের প্রায় ৭ বছর আগে মৃতূ্বরণ করেন। কিন্তু আজো প্রকাশক ও সম্পাদক পদে বহাল রয়েছে তাঁর নাম।

দৈনিক নোয়াখালীর প্রত্যাশার প্রকাশক ভারতীয় নাগরিকত্বসহ দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে প্রকাশনা বাতিল হয়েছে কমপক্ষে ৫/৭ বছর আগে। কিন্তু, আজও সিরাজ উদ্দিন হেলালকে প্রকাশক ও সম্পাদক বলে ওয়েবে উল্লেখ রয়েছে।

সাপ্তাহিক আজকাল পত্রের সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেনের স্থলে আবুল হাসান রুনুর নাম সম্পাদক হিসেবে রয়েছে। বেগমগঞ্জের চৌমুহনী  হতে সাপ্তাহিক চলমান নোয়াখালী দৈনিকে রুপান্তরিত হওয়ার পর সম্পাদক ২০১৬ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে সেদেশে বসবাস করছেন। কিন্তু আজো চলমান নোয়াখালীকে সদর থেকে প্রকাশিত বলে প্রচারিত রয়েছে।

আবার, সদর হতে প্রকাশিত একটি অর্ধসাপ্তাহিককে দৈনিক হিসেবে প্রচার করা হলেও আকাশ মো. জসিমের সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক দিশারীসহ অনেকগুলো দৈনিক ও সাপ্তাহিকের নাম, পরিচয় পুরোপুরিই বাদ দেয়া হয়েছে।

তাছাড়া, দায়িত্বশীল উপজেলা চেয়ারম্যান কিংবা নির্বাহী কর্মকর্তার সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্তও স্থান পায়নি এ তথ্য বাতায়নে।

অবশ্য এসব নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা বলেন, আমাকে তো বলা হয়েছে, সব ঠিক আছে। এরপরেও যদি কোন ভুলত্রুটি থেকে থাকে তা অবশ্যই সংশোধন করা হবে।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!