আকাশ মো. জসিম
সম্পাদক
———-
জাতীয় নির্বাচনের এখনও ২ বছরের অধিককাল বাকি। ক্ষমতাসীনরা সব সময় নিজের জেতার তাঁবেদারদেরই কমিশন বানায়। এটাই স্বভাব সুলভ। স্বাভাবিক। তথাপি নির্বাচনের মাত্র ক’দিন আগেও সেই কমিশন ভেঙ্গে তছনছ হওয়ার উদাহরণও এদেশে রয়েছে। সব কিছু সময়ই করে দেয়।
তবু দেশের অভ্যন্তরে জনজীবনে বিরাজমান নানা সংকট আর অন্তহীন সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা ব্যতিরেখে ইতোমধ্যে, ক্ষমতাসীন ও বিএনপিরা এ নিয়ে রীতিমতো মাঠসরগমে। যেন চলছে আগডুম বাগডুমের রাজনীতি।
কিন্তু আগ বাড়িয়ে বেতাল হয়ে যাই বলিনা কেন, জনজীবনের সংকটের প্রকাশ্য চিত্র ঢাকা যায়না। প্রতিটি নির্বাচনের আগে কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের আন্দোলনে পানি ঢালার দৃশ্যপটও কম নই। চা-চক্র সভ্যতায় রাখডাক সামলে নিয়েই নির্বাচনে নিজের জয় ঠিকই ফায়দা করে ঘরেফিরেন তিনি। আগামীতেও নিশ্চয় তাই না করে একতরফার পরিবেশ তাঁর ধ্যান ধারণায় সমীচীনের বিজলী দেয়না।
কিন্তু, বড্ড অসময়ে দ্রব্যমূল্যের সঠিক মূল্য কে বলে দেবে। মন্ত্রী বলছেন, পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমপক্ষে একমাস সইতে হবে। বেড়েছে গ্যাসের দাম। ১০ টাকার সিএনজি ভাড়া একলাফেই ২০ টাকা। চিনির অজুহাতে বেড়েছে চায়ের দাম। চালের দামও স্বস্তির নি:শ্বাসে নেই। এটি কোন সভ্য রাষ্ট্রের সুস্থ্য ব্যবস্থাপনার কথা ! কিন্তু কে রুখবে মন্ত্রীদের বালখিল্য ধ্যাণের এসব জনভীতির কথা।
সীমানায় নেই তরি-তরকারির দামও। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সংসার জীবনের খরচের সীমাহীন কষ্টের রোজনামচা একমাত্র দৈনিক শ্রমজীবি মানুষ ছাড়া অন্য কোন সরকারী কর্মজীবির বুঝা সহজ সাধ্য নই।
সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাসে যেন তাদের ( মন্ত্রীদের) কিচ্ছু যায় আসেনা। আবার বিরোধীরাওতো আউল-বাউল বলে সময় পার করছেন। জনগণের জীবন জীবিকায় অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত বিষয়াবলী নিয়ে তো তারাও রাজপথে কিংবা কোন সংবাদ সম্মেলনে কিছুই বলছেননা। তাহলে, কার্যত সবাই ক্ষমতার পাগল!
Leave a Reply