বিলুপ্ত হলো ৬১ জেলা পরিষদ, সচিব পদ হলো ‘নির্বাহী কর্মকর্তা’

  • আপডেট সময় সোমবার, এপ্রিল ১৮, ২০২২
  • 329 পাঠক

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

————————

দেশের ৬১ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিষদগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে। এখন নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের আগ পর্যন্ত জেলা পরিষদগুলোর প্রশাসনিক ও সব আর্থিক কার্যক্রম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা চালিয়ে নেবেন।

গতকাল রোববার রাতে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পৃথক আইনের বলে পরিচালিত হয়। সেগুলোর মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি।

এদিকে পৃথক আরেকটি আদেশে জেলা পরিষদের ‘সচিব’ পদটিকে ‘নির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আদেশ বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ আইন (সংশোধন)

২০২২-এর ধারা ৭ অনুযায়ী জেলা পরিষদের ‘সচিব’ পদের নাম ‘নির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা সোমবার (আজ) থেকে পরিষদের কোনো কর্মকা-ে আর যুক্ত থাকছেন না। ফলে পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা পরিষদ চালিয়ে নেয়ার একক ক্ষমতা পেলেন। তাদের পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে বর্তমানে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিবদের নিয়োগ করেছে সরকার। সুতরাং সরকারের নতুন আদেশ বলে প্রশাসক নিয়োগের আগ পর্যন্ত এসব উপসচিবই জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখার কর্মকর্তা উপসচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকীর স্বাক্ষরে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ আইন (সংশোধন) ২০২২ অনুযায়ী দেশের ৬১ জেলা পরিষদের মেয়াদ প্রথম সভার তারিখ হতে পাঁচ বছর উত্তীর্ণ হওয়ায় পরিষদগুলো বিলুপ্ত হয়েছে।

এমতাবস্থায় জেলা পরিষদ আইন ২০০০-এর ধারা ৮২ অনুযায়ী সরকার কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত আইনের ধারা ৭৫-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রত্যেক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে দায়িত্ব অর্পণ করা হলো।

প্রসঙ্গত, ‘জেলা পরিষদ আইন-২০০০’ অনুযায়ী পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে নতুন জেলা পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান পরিষদের দায়িত্ব অব্যাহত রাখার বিধান রয়েছে। তবে গত ৬ এপ্রিল সংসদে আইনটির সংশোধনী পাস হয়েছে। ওই সংশোধনীতে জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়।

নাম প্রকাশনা করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, কবে নাগাদ জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ হবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মধ্য থেকে প্রশাসক বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!