আকাশ মো. জসিম
সম্পাদকীয়
——————
পদ্মাসেতু অবশ্যই গৌরবের। গর্বের। স্বাধীনতার অন্যতম সুফলের। ১৯ জেলার মানুষের পরম সুখের। যাতে জড়িয়েছে সর্বময় সুখ, সমৃদ্ধি আর অগ্রযাত্রায় পুরো দেশ। মহান স্বাধীনতার ৫০ পর পেরিয়ে শেখ হাসিনার নের্তৃত্বাধীন সরকার দেশবাসীকে যে উপহারে উপকৃত করছেন তা নি:সন্দেহে পরম আনন্দের, উৎফুল্লের আর উচ্ছ¡াসের।
তবে এর সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের তুলনা করা মানে অবশ্যই একটি দেশ, একটি রাষ্ট্র, একটি জাতি ও একটি সরকারকে বেমানান, তাচ্ছিল্য, মনগড়া আর উদ্মাদনার বর্হিপ্রকাশ। মনে রাখা দরকার, মুক্তির অনেকগুলো দ্বারের মধ্যে উন্নয়নও একটি দ্বার।এটি মৌলিক নয়। আবার, উন্নয়ন ব্যতিরেখে মহান মুক্তিযুদ্ধের সুফলও অর্জন সম্ভব নয়।
গতকাল সরকারের একটি বৃহৎ উন্নয়নের এ সীমানায় দাঁড়িয়ে দেশের কিছু পাগল (!), মহান মুক্তিযুদ্ধকে যেন একটি তামসার খবরে পরিণত করতে চেয়েছেন। ছাগলের ন্যায় কিছু পাগল বলেছেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, তবে পদ্মার সেতুর উদ্বোধন দেখেছি।
মহান মুক্তিযুুদ্ধে জীবনবাজি রেখে যারা প্রিয় দেশটাকে স্বাধীন করেছেন, যারা একটি মায়ের স্বপ্নের সারথী হয়েছেন ; তারাই পাগলদের এমন প্রলাপ আর বালখিল্যতায় চরম কষ্ট পেয়েছেন। বলেছেন, পাগলরা জেনারেল ওসমানীদের কাছে পাক প্রধানের মাথা নত করে রাখা নির্লজ্জ হার দেখিনি। পদ্মার জনজীবনের উন্নয়নের সাথে সরকারের এমন অর্জন রাষ্ট্রীয়ভাবে অবশ্যই গৌরবের আর গর্বের।
তবে মা না হলে যেমন সন্তানের জন্ম হয়না, তেমনই স্বাধীনতা না পেলে দেশের মানুষের ভাগ্যরেখায় এমন অর্জনই ছিল কল্পানাতীত। স্বাধীনতা সর্বাগ্রে। সর্বময়।
একজন মুক্তিযোদ্ধা আফসোস প্রকাশ করে বলেছেন, এসব পাগলের কাছে এদেশের লাখ লাখ শহীদদের আত্মত্যাগের দাম নেই! মা, বোনের সম্ভ্রম হারানোর মূল্য নেই। পাক বাহিনীর বর্বর নির্যাতন, নিষ্পেষন যেন তাদের কাছে তুচ্ছ মাত্র। মুক্তিযুদ্ধের সাথে এমন আবেগের তুলনা করা মানেই মহান মুক্তিযুদ্ধকে হাসি, তামসা আর খাটো করার নামান্তর!
আবার জাতীয় নামের কিছু দায়িত্বহীন সম্পাদকও অতি আবেগের বেশে যখন এসব দায়িত্বহীন আবেগগুলো মূদ্রণ করে সেসব আবেগীদের প্রলাপের প্রচার আর প্রকাশের আসকারা দেন, তখনই বুঝতে বাকী নেই ; আমাদের সব জায়গায় পঁচন ধরেছে। কোথাও রক্ষার যেন কেউ নেই!
Leave a Reply